লাল কেল্লা — মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ মহান শক্তির প্রতীক।
1638 খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট শাহজাহান সুবৃহৎ এই কেল্লাটির নির্মাণকার্য শুরু করেন। নির্মাণকার্য শেষ হয় 1848 সালে।প্রথম দিকে এই দুর্গের নাম ছিল 'কিলা-ই-মুবারক' ('আশীর্বাদধন্য দুর্গ'), কারণ এই দুর্গে সম্রাটের পরিবারবর্গ বাস করতেন। দুর্গটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।এই নদীর জলেই পুষ্ট হত দুর্গপ্রাকারের পরিখাগুলো। দুর্গের উত্তর-পূর্ব কোণের প্রাচীর সালিমগড় দুর্গ নামে অপর একটি প্রাচীন দুর্গের সঙ্গে সংযুক্ত। ১৫৪৬ সালে ইসলাম শাহ সুরি এই প্রতিরক্ষা দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। লালকেল্লার পরিকল্পনা ও সাজসজ্জা শাহজাহানের শাসনকালে মুঘল স্থাপত্য ও চিত্রকলার উৎকর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রকৃতপক্ষে লালকেল্লা ছিল দিল্লিক্ষেত্রের সপ্তম নগরী তথা শাহজাহানের নতুন রাজধানী শাহজাহানাবাদের রাজপ্রাসাদ। পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি দিল্লি থেকে আগ্রা শহরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিলেন।1857 সালের বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা কেল্লাটিকে সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তর করে। ভারতের স্বাধীনতার পর এটি জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে এখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার প্রথা এখনো বজায় আছে।
লাল কেল্লা শুধুই একটি দূর্গ নয়—
এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামরিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সম্পূর্ণ একটি অধ্যায়।
তথ্য ও সূত্র: কিছু কিছু সাল,তারিখ ইন্টারনেট থেকে নেওয়া।
*Notification


1638 খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট শাহজাহান সুবৃহৎ এই কেল্লাটির নির্মাণকার্য শুরু করেন। নির্মাণকার্য শেষ হয় 1848 সালে।প্রথম দিকে এই দুর্গের নাম ছিল 'কিলা-ই-মুবারক' ('আশীর্বাদধন্য দুর্গ'), কারণ এই দুর্গে সম্রাটের পরিবারবর্গ বাস করতেন। দুর্গটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।এই নদীর জলেই পুষ্ট হত দুর্গপ্রাকারের পরিখাগুলো। দুর্গের উত্তর-পূর্ব কোণের প্রাচীর সালিমগড় দুর্গ নামে অপর একটি প্রাচীন দুর্গের সঙ্গে সংযুক্ত। ১৫৪৬ সালে ইসলাম শাহ সুরি এই প্রতিরক্ষা দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। লালকেল্লার পরিকল্পনা ও সাজসজ্জা শাহজাহানের শাসনকালে মুঘল স্থাপত্য ও চিত্রকলার উৎকর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রকৃতপক্ষে লালকেল্লা ছিল দিল্লিক্ষেত্রের সপ্তম নগরী তথা শাহজাহানের নতুন রাজধানী শাহজাহানাবাদের রাজপ্রাসাদ। পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি দিল্লি থেকে আগ্রা শহরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিলেন।1857 সালের বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা কেল্লাটিকে সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তর করে। ভারতের স্বাধীনতার পর এটি জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে এখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার প্রথা এখনো বজায় আছে।
লাল কেল্লা শুধুই একটি দূর্গ নয়—
এটা ভারতের রাজনৈতিক, সামরিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সম্পূর্ণ একটি অধ্যায়।
তথ্য ও সূত্র: কিছু কিছু সাল,তারিখ ইন্টারনেট থেকে নেওয়া।
*Notification




