আত্মঘৃণা আত্মহত্যার চাইতেও ভয়াবহ। তবুও মানুষের আত্মঘৃণা করবার বোধ শক্তি থাকা উচিৎ। নিজের ভুল, নিজের সমস্যা খুব কম মানুষ ই বোঝে। তার চাইতেও কম মানুষ ব্যাপারটাকে স্বীকার করে। পাপকর্মের জন্য নরক নির্ধারিত। তবে মর্তে যে নরক নিজেরা বানিয়ে নিই নিজেদের মগজের ভেতরে, দৃশ্যগুলোকে রেটিনার পেছনে অবাস্তব বিম্বে সাজিয়ে একটা রীলহীন চলচ্চিত্রের রীল তৈরি করি, এরপর সেই রীলকে জ্বালানী বানিয়ে নিজেকে দগ্ধ করি সেই আগুনে, এর মুক্তি কোথায়? সব পাপের প্রায়েশ্চিত্য হয় না। প্রায়েশ্চিত্য সবার কপালেও জোটে না। আত্মঅনুশোচনা একটি জরুরী বিষয়, অন্তত যারা নিজেদেরকে বুঝতে পারে তাদের জন্য।
কিন্তু আমরা যাদের সাথে এই সমস্যাগুলো করি তাদেরকে বোঝাবো কি করে? সহস্রাধিক ভাষা এবং লক্ষাধিক শব্দপূর্ণ অভিধানে কি আছে সেই কথাগুলো? যেগুলো ব্যবহার করে নিজের মনের কথাগুলো সত্যিকার অর্থেই বলা যায়? মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে চলেছি আমরা ব্যাকরণ বইতে। অথচ এদিকে কজনই বা আছি যারা মনের সত্যিকার ভাবটা প্রকাশ করতে পারছি? কখনও মানব দেহের সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ মনে হয় বাগযন্ত্রকেই। কত শত কলকব্জা অথচ নিজের মনের কথা ভাবভাবে বোঝাবার সামর্থ্য এটার নেই। এটা কখনও পারেই নি সঠিক শব্দের পর সঠিক শব্দ বসিয়ে কথাগুলো বলতে।
খোলা চোখে দেখা যায় না সব। খোলা কানেও ধরা পড়ে না সবগুলো কথা। কি হত যদি সাগরের উপর দিয়ে বাতাস না বয়ে যেত? সাগরের গর্জন বলেও কিছু থাকত না। ঢেউ বলেও কিছু থাকত না। হয়তো মাথার ভেতরের কোষগুলোয় ঢেউ উঠতো তখনও ঠিকই, এখন যেমন উঠছে। কিন্তু উচ্চস্বরে বোবা বাগযন্ত্রের সাধ্যাতীত চাপ তাকে দেবার অর্থ নেই। যদি কখনও পারতাম, পোষা কুকুর হতাম। একটা নির্দিষ্ট শব্দে জবানকে বন্দী করে চোখ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতাম, যেভাবে ওরা প্রকাশ করে পরিচ্ছন্ন ভালবাসা, অর্থহীন ভাবে, অর্থপূর্ণ করে।
নিজের নোংরাগুলো সোনাধোয়া গঙ্গাজলেও দূর করতে পারি না। আগুনের অঙ্গার ধাতুকে বিশুদ্ধ করলেও মানুষকে করতে পেরেছে কি কখনও? তবুও তো আমরা চিতা পোড়াই। সিগারেট পোড়াই, সেই আগুন কি নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে পারে?
নিরবে চিৎকার করি তাই আমরা মাঝে মাঝে। নতুন জ্বালানো সিগারেটকে ছুড়ে ফেলে দিই। পরমুহূর্তে আরেকটা সিগারেট ধরাই। সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগী। ধোঁয়া গিলে খাই। বাতাসে উড়াই। নিজেকে হালকা ভাবার চেষ্টা করি। মনের ভারে নুইয়ে পড়ি। তবুও বলার চেষ্টা করি। আশেপাশেই থাকে, শুনতে চাইলে শোনা যায়।
বিশ্বাসের শক্তি অনেক। নিউক্লিয়ার ফিউশনের চাইতেও বেশি। ভার নিয়েও ভেসে থাকার তাড়নায় হাত পা ছুড়ি। অনুভব করতে চাইলেই করা যায়।
বলতে চাই। বলতে পারি না। মুখের ভেতর জীভটাকে এদিক সেদিক ছটফট করতে অনুভব করি। গলা দিয়ে অস্ফুট শব্দ বের হয়, টের পাই। বলতে চাই। কোথাও না কোথাও বলে যাই।
কিন্তু আমরা যাদের সাথে এই সমস্যাগুলো করি তাদেরকে বোঝাবো কি করে? সহস্রাধিক ভাষা এবং লক্ষাধিক শব্দপূর্ণ অভিধানে কি আছে সেই কথাগুলো? যেগুলো ব্যবহার করে নিজের মনের কথাগুলো সত্যিকার অর্থেই বলা যায়? মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে চলেছি আমরা ব্যাকরণ বইতে। অথচ এদিকে কজনই বা আছি যারা মনের সত্যিকার ভাবটা প্রকাশ করতে পারছি? কখনও মানব দেহের সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ মনে হয় বাগযন্ত্রকেই। কত শত কলকব্জা অথচ নিজের মনের কথা ভাবভাবে বোঝাবার সামর্থ্য এটার নেই। এটা কখনও পারেই নি সঠিক শব্দের পর সঠিক শব্দ বসিয়ে কথাগুলো বলতে।
খোলা চোখে দেখা যায় না সব। খোলা কানেও ধরা পড়ে না সবগুলো কথা। কি হত যদি সাগরের উপর দিয়ে বাতাস না বয়ে যেত? সাগরের গর্জন বলেও কিছু থাকত না। ঢেউ বলেও কিছু থাকত না। হয়তো মাথার ভেতরের কোষগুলোয় ঢেউ উঠতো তখনও ঠিকই, এখন যেমন উঠছে। কিন্তু উচ্চস্বরে বোবা বাগযন্ত্রের সাধ্যাতীত চাপ তাকে দেবার অর্থ নেই। যদি কখনও পারতাম, পোষা কুকুর হতাম। একটা নির্দিষ্ট শব্দে জবানকে বন্দী করে চোখ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতাম, যেভাবে ওরা প্রকাশ করে পরিচ্ছন্ন ভালবাসা, অর্থহীন ভাবে, অর্থপূর্ণ করে।
নিজের নোংরাগুলো সোনাধোয়া গঙ্গাজলেও দূর করতে পারি না। আগুনের অঙ্গার ধাতুকে বিশুদ্ধ করলেও মানুষকে করতে পেরেছে কি কখনও? তবুও তো আমরা চিতা পোড়াই। সিগারেট পোড়াই, সেই আগুন কি নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে পারে?
নিরবে চিৎকার করি তাই আমরা মাঝে মাঝে। নতুন জ্বালানো সিগারেটকে ছুড়ে ফেলে দিই। পরমুহূর্তে আরেকটা সিগারেট ধরাই। সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগী। ধোঁয়া গিলে খাই। বাতাসে উড়াই। নিজেকে হালকা ভাবার চেষ্টা করি। মনের ভারে নুইয়ে পড়ি। তবুও বলার চেষ্টা করি। আশেপাশেই থাকে, শুনতে চাইলে শোনা যায়।
বিশ্বাসের শক্তি অনেক। নিউক্লিয়ার ফিউশনের চাইতেও বেশি। ভার নিয়েও ভেসে থাকার তাড়নায় হাত পা ছুড়ি। অনুভব করতে চাইলেই করা যায়।
বলতে চাই। বলতে পারি না। মুখের ভেতর জীভটাকে এদিক সেদিক ছটফট করতে অনুভব করি। গলা দিয়ে অস্ফুট শব্দ বের হয়, টের পাই। বলতে চাই। কোথাও না কোথাও বলে যাই।









