আমিও চাইনি ছেলেটি এখনই সব শিল্প দিয়ে দিক। সেই কারণেই সেঞ্চুরি না হওয়াতেও কোনো দুঃখ নেই। বিশ্ব কাপে ওটার অনেক সুযোগ পাবেন আপনি। স্রেফ কব্জি, কনুই এবং ব্যাক ফুটের ব্যালান্সটা এই ভাবেই মেন্টেন করে যান। আপনার হাইট আছে তাই বহুদূরে যাবেন। কিছু স্ট্রোক দেখে ( শট বলছিনা ইচ্ছে করেই। ওটাতে কোনো শিল্প নেই ) আজকে ১৯৮৫ র বেনসন হেজেস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে এক হায়দ্রাবাদী আর আরো কিছু দেখে যেন ২০০১ সালের ইডেনে মার্চের এক পড়ন্ত দুপুরে আরেক হায়দ্রাবাদীকে খুঁজে পেলাম যেন। আমার না ঠিক ছয় মারায় শিল্প খুঁজে না পাওয়ার একটা খুঁতখুঁতেমো আছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কেই ভালোবাসি আর ক্রিকেটেও সবুজ মখমলে ঘাসের উপর দিয়ে ফিল্ড প্লেস মেন্টকে চিরে যাওয়া প্লেসমেন্টকেই বেশী পছন্দ হয়। ঠিক যেন মনে হয় একটা স্বর থেকে আরেকটা স্বরে মিড় চলে যাচ্ছে অবলীলায়। এই মিড় শোনার জন্যই রাত জাগা আর এই স্ট্রোক দেখার জন্যই খেলা দেখা। নিজের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখুন। পাওয়ার ক্রিকেট নামক তামাশার কাছে একে বিকিয়ে যেতে দেবেন না ফিউশন মিউজিকের মতো। আপনার মধ্যে আলী আকবর খানের সরোদের স্ট্রোক আর নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেতারের মীড়ের এক অদ্ভুত যুগলবন্দী আছে।
এই ভাবেই এগিয়ে যান। খেলতে তো সবাই আসেন কিন্তু ক্রিকেটার নামক শিল্পী সবাই হননা।
এই ভাবেই এগিয়ে যান। খেলতে তো সবাই আসেন কিন্তু ক্রিকেটার নামক শিল্পী সবাই হননা।