• We kindly request chatzozo forum members to follow forum rules to avoid getting a temporary suspension. Do not use non-English languages in the International Sex Chat Discussion section. This section is mainly created for everyone who uses English as their communication language.

মনের চোরাবালি © ভূত

Bhoot

Epic Legend
Chat Pro User
শ্যামলী খুব নিরীহ টাইপের মেয়ে, একদিন কোনো এক ধূষর বিকেলের পড়ন্ত আলো তে দেখা হয়েছিল জয়ন্তর সঙ্গে। অস্তমিত সূর্যের মৃদু লালচে আভা জয়ন্ত-র গায়ে এসে পড়ছিল তাতে জয়ন্ত কে যেনো আরো বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে লাগলো শ্যামলীর। অবশ্য জয়ন্ত শুরু টা করেছিল, জয়ন্ত শ্যামলীর দিকে এগিয়ে এসে বলেছিল, "এই যে ম্যাডাম, জলের বোতল টা হবে একটু ?", শ্যামলী একটু থতমত খেয়ে গেছিল, নিজেকে সামলে নিয়ে জলের বোতল টা এগিয়ে দিয়েছিল একটা মৃদু হাসির সাথে। তার পরে দুজনে দুজনের সাথে কথা বলতে বলতে পরিচিতি বাড়তে থাকে, একে পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়, দুজনেই দুজন কে মনে মনে পছন্দ করতে শুরু করে। ব্যাপার টা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, বেশ ভালই কাটছিল দিন তাদের। হঠাৎ একদিন শ্যামলী বুঝতে পারে, কোনো কিছু নিয়ে জয়ন্ত চাপ এ আছে, যত দিন যায় জয়ন্ত যেন আরো চাপের মধ্যে ডুবে যেতে থাকে। শ্যামলী ভাবতে থাকে আমি ভুল করলাম না তো এই মানুষ টাকে নিজের করে নিয়ে? এই মানুষ টা আমাকে আর ভালো বাসে না, সে কি আদেও কখনও ভালবেসেছিল।

জয়ন্ত নিজে বুঝতে পারেনি, সে কি করছে, কেনো করছে, জীবনে তার যেন ইমোশান গুলো হারিয়ে ফেলেছে, কঠিন বাস্তব জয়ন্ত কে গিলে ফেলতে আসছে, জয়ন্ত ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার দুশ্চিন্তা শ্যামলী কে কিভাবে ভালো রাখবো ? কি ভাবে সমাজে ভালো থাকবো ? সব দিক সামলে উঠতে পারব তো ?

শ্যামলী, দিন কে দিন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে, জয়ন্ত ক্রমশ যেন একটা কাঠ পাথর হয়ে যাচ্ছে, তার সাথে জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করা শুরু করেছে, ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে যেন। নাহ্, শ্যামলী আর কিছু সহ্য করতে পারবে না, সে চায় না আর কিছু সহ্য করতে, সে ঠিক করলো সম্পর্ক টা থেকে বেরিয়ে আসবে, যথা সময়ে ডিভোর্স হয়ে গেলো। এখন তারা আলাদা আলাদা।

জয়ন্ত এখন তার সমস্ত ঝামেলা কাটিয়ে উঠেছে, কিন্তু শান্তি নেই, সে তার শ্যামলী কে খুব মিস করছে, বুঝতে পারছে, খারাপ সময়ে সে শ্যামলীর সাথে নিজে না চাইতেও অনেক খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছে, সে তার পছন্দের মানুষ টাকে হারিয়ে ফেলেছে। তার জীবন টা যেন শূন্য। তার সব চেয়ে এটা ভেবে বেশি কষ্ট হচ্ছে, শ্যামলী তাকে বুঝল না, তাকে সুযোগ দিলো না, খারাপ সময়ে হাত টা শক্ত করে ধরতে হয়, সমস্যা হলে সমাধান করার চেষ্টা করতে হয়, কিন্তু কেউ ই কিছু করলো না, সময়ে।

শ্যামলী ভেবেছিল, জয়ন্ত কে ছেড়ে চলে এসে খুব ভালো থাকবে, কিন্তু সে ভালো থাকতে পারছে না, হ্যাঁ, সে কষ্ট পাচ্ছিল জয়ন্তর সাথে, জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করছিল, কিন্তু জয়ন্ত তো তার মনের মানুষ, শ্যামলী এখন মনে মনে ভাবছে, হয়তো জয়ন্ত কে একটু সুযোগ দিলে সব টা ঠিক হয়ে যেতো। শ্যামলী আর কিছু ভাবতে পারছে না, মন টা খুব ভারী হয়ে আসছে।

বছর খানেক চলে গেছে, কেউ কারো সাথে আর যোগাযোগ রাখেনি, শ্যামলী আলুমনি দাবি করেনি, তাই টাকা পয়সার লেন দেন ও রাখেনি। শ্যামলীর মন আর কিছু শুনতে চায় না, সে জয়ন্ত কে আবার ফিরে পেতে চায়, অন্তত ভালো মন্দ খবর টা তো নিতে পারবে, কালকে জয়ন্তর বার্থ ডে, শ্যামলী ভাবলো একটা ফুলের তোরা আর একটা ছোট্ট উইশ কার্ড কুরিয়ার করে দেবে জয়ন্ত কে। সেই মতো সে সব ব্যবস্থা করে পোস্ট করে দিল।

তিন দিন পরে কুরিয়ার রিটার্ন চলে এসেছে, শ্যামলী অবাক, তাহলে কি জয়ন্ত তার দেওয়া গিফট নিয়ে চায় না? জয়ন্ত কি শ্যামলী কে ঘৃনা করে?

শ্যামলী, একটা নাম্বার ডায়াল করলো, ওপর প্রান্ত থেকে সোনাই এর গলার আওয়াজ টা চিনতে পারল। শ্যামলী কোনো ভনিতা ছাড়াই সোজা জিজ্ঞেস করলো -- তোমাদের জয়ন্ত দার কি খবর ? সোনাই একটু আমতা আমতা করে, চাপা কান্নার মতো গলায় বলল, বুবাই দা তো আর নেই, বুবাই দা প্রায় দুই সপ্তাহ হলো, এই জগৎ ছেড়ে চলে গেছে, আর বাড়ি টা একটা ট্রাস্টি কে দিয়ে দিয়েছে, ওটার নাম রেখেছে "শ্যামলী অনাথ আশ্রম"। শ্যামলী-র গলা বন্ধ হয়ে এসেছে, হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেলো নিচে, দুই চোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ছে, তার কোনো বাহ্যিক জ্ঞান যেন আর নেই।
 
শ্যামলী খুব নিরীহ টাইপের মেয়ে, একদিন কোনো এক ধূষর বিকেলের পড়ন্ত আলো তে দেখা হয়েছিল জয়ন্তর সঙ্গে। অস্তমিত সূর্যের মৃদু লালচে আভা জয়ন্ত-র গায়ে এসে পড়ছিল তাতে জয়ন্ত কে যেনো আরো বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে লাগলো শ্যামলীর। অবশ্য জয়ন্ত শুরু টা করেছিল, জয়ন্ত শ্যামলীর দিকে এগিয়ে এসে বলেছিল, "এই যে ম্যাডাম, জলের বোতল টা হবে একটু ?", শ্যামলী একটু থতমত খেয়ে গেছিল, নিজেকে সামলে নিয়ে জলের বোতল টা এগিয়ে দিয়েছিল একটা মৃদু হাসির সাথে। তার পরে দুজনে দুজনের সাথে কথা বলতে বলতে পরিচিতি বাড়তে থাকে, একে পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়, দুজনেই দুজন কে মনে মনে পছন্দ করতে শুরু করে। ব্যাপার টা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, বেশ ভালই কাটছিল দিন তাদের। হঠাৎ একদিন শ্যামলী বুঝতে পারে, কোনো কিছু নিয়ে জয়ন্ত চাপ এ আছে, যত দিন যায় জয়ন্ত যেন আরো চাপের মধ্যে ডুবে যেতে থাকে। শ্যামলী ভাবতে থাকে আমি ভুল করলাম না তো এই মানুষ টাকে নিজের করে নিয়ে? এই মানুষ টা আমাকে আর ভালো বাসে না, সে কি আদেও কখনও ভালবেসেছিল।

জয়ন্ত নিজে বুঝতে পারেনি, সে কি করছে, কেনো করছে, জীবনে তার যেন ইমোশান গুলো হারিয়ে ফেলেছে, কঠিন বাস্তব জয়ন্ত কে গিলে ফেলতে আসছে, জয়ন্ত ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার দুশ্চিন্তা শ্যামলী কে কিভাবে ভালো রাখবো ? কি ভাবে সমাজে ভালো থাকবো ? সব দিক সামলে উঠতে পারব তো ?

শ্যামলী, দিন কে দিন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে, জয়ন্ত ক্রমশ যেন একটা কাঠ পাথর হয়ে যাচ্ছে, তার সাথে জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করা শুরু করেছে, ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে যেন। নাহ্, শ্যামলী আর কিছু সহ্য করতে পারবে না, সে চায় না আর কিছু সহ্য করতে, সে ঠিক করলো সম্পর্ক টা থেকে বেরিয়ে আসবে, যথা সময়ে ডিভোর্স হয়ে গেলো। এখন তারা আলাদা আলাদা।

জয়ন্ত এখন তার সমস্ত ঝামেলা কাটিয়ে উঠেছে, কিন্তু শান্তি নেই, সে তার শ্যামলী কে খুব মিস করছে, বুঝতে পারছে, খারাপ সময়ে সে শ্যামলীর সাথে নিজে না চাইতেও অনেক খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছে, সে তার পছন্দের মানুষ টাকে হারিয়ে ফেলেছে। তার জীবন টা যেন শূন্য। তার সব চেয়ে এটা ভেবে বেশি কষ্ট হচ্ছে, শ্যামলী তাকে বুঝল না, তাকে সুযোগ দিলো না, খারাপ সময়ে হাত টা শক্ত করে ধরতে হয়, সমস্যা হলে সমাধান করার চেষ্টা করতে হয়, কিন্তু কেউ ই কিছু করলো না, সময়ে।

শ্যামলী ভেবেছিল, জয়ন্ত কে ছেড়ে চলে এসে খুব ভালো থাকবে, কিন্তু সে ভালো থাকতে পারছে না, হ্যাঁ, সে কষ্ট পাচ্ছিল জয়ন্তর সাথে, জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করছিল, কিন্তু জয়ন্ত তো তার মনের মানুষ, শ্যামলী এখন মনে মনে ভাবছে, হয়তো জয়ন্ত কে একটু সুযোগ দিলে সব টা ঠিক হয়ে যেতো। শ্যামলী আর কিছু ভাবতে পারছে না, মন টা খুব ভারী হয়ে আসছে।

বছর খানেক চলে গেছে, কেউ কারো সাথে আর যোগাযোগ রাখেনি, শ্যামলী আলুমনি দাবি করেনি, তাই টাকা পয়সার লেন দেন ও রাখেনি। শ্যামলীর মন আর কিছু শুনতে চায় না, সে জয়ন্ত কে আবার ফিরে পেতে চায়, অন্তত ভালো মন্দ খবর টা তো নিতে পারবে, কালকে জয়ন্তর বার্থ ডে, শ্যামলী ভাবলো একটা ফুলের তোরা আর একটা ছোট্ট উইশ কার্ড কুরিয়ার করে দেবে জয়ন্ত কে। সেই মতো সে সব ব্যবস্থা করে পোস্ট করে দিল।

তিন দিন পরে কুরিয়ার রিটার্ন চলে এসেছে, শ্যামলী অবাক, তাহলে কি জয়ন্ত তার দেওয়া গিফট নিয়ে চায় না? জয়ন্ত কি শ্যামলী কে ঘৃনা করে?

শ্যামলী, একটা নাম্বার ডায়াল করলো, ওপর প্রান্ত থেকে সোনাই এর গলার আওয়াজ টা চিনতে পারল। শ্যামলী কোনো ভনিতা ছাড়াই সোজা জিজ্ঞেস করলো -- তোমাদের জয়ন্ত দার কি খবর ? সোনাই একটু আমতা আমতা করে, চাপা কান্নার মতো গলায় বলল, বুবাই দা তো আর নেই, বুবাই দা প্রায় দুই সপ্তাহ হলো, এই জগৎ ছেড়ে চলে গেছে, আর বাড়ি টা একটা ট্রাস্টি কে দিয়ে দিয়েছে, ওটার নাম রেখেছে "শ্যামলী অনাথ আশ্রম"। শ্যামলী-র গলা বন্ধ হয়ে এসেছে, হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেলো নিচে, দুই চোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ছে, তার কোনো বাহ্যিক জ্ঞান যেন আর নেই।
অসহায়তা আর ভুল বোঝাবুঝির এক নিদারুণ পরিণতি। হয়তো একটু ধৈর্য, একটু বিশ্বাস, আর একটু সুযোগ সবটা বদলে দিতে পারত। খুব কষ্ট হলো শেষটা জেনে।
Awesome Intelligence
 
শ্যামলী খুব নিরীহ টাইপের মেয়ে, একদিন কোনো এক ধূষর বিকেলের পড়ন্ত আলো তে দেখা হয়েছিল জয়ন্তর সঙ্গে। অস্তমিত সূর্যের মৃদু লালচে আভা জয়ন্ত-র গায়ে এসে পড়ছিল তাতে জয়ন্ত কে যেনো আরো বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে লাগলো শ্যামলীর। অবশ্য জয়ন্ত শুরু টা করেছিল, জয়ন্ত শ্যামলীর দিকে এগিয়ে এসে বলেছিল, "এই যে ম্যাডাম, জলের বোতল টা হবে একটু ?", শ্যামলী একটু থতমত খেয়ে গেছিল, নিজেকে সামলে নিয়ে জলের বোতল টা এগিয়ে দিয়েছিল একটা মৃদু হাসির সাথে। তার পরে দুজনে দুজনের সাথে কথা বলতে বলতে পরিচিতি বাড়তে থাকে, একে পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়, দুজনেই দুজন কে মনে মনে পছন্দ করতে শুরু করে। ব্যাপার টা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, বেশ ভালই কাটছিল দিন তাদের। হঠাৎ একদিন শ্যামলী বুঝতে পারে, কোনো কিছু নিয়ে জয়ন্ত চাপ এ আছে, যত দিন যায় জয়ন্ত যেন আরো চাপের মধ্যে ডুবে যেতে থাকে। শ্যামলী ভাবতে থাকে আমি ভুল করলাম না তো এই মানুষ টাকে নিজের করে নিয়ে? এই মানুষ টা আমাকে আর ভালো বাসে না, সে কি আদেও কখনও ভালবেসেছিল।

জয়ন্ত নিজে বুঝতে পারেনি, সে কি করছে, কেনো করছে, জীবনে তার যেন ইমোশান গুলো হারিয়ে ফেলেছে, কঠিন বাস্তব জয়ন্ত কে গিলে ফেলতে আসছে, জয়ন্ত ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার দুশ্চিন্তা শ্যামলী কে কিভাবে ভালো রাখবো ? কি ভাবে সমাজে ভালো থাকবো ? সব দিক সামলে উঠতে পারব তো ?

শ্যামলী, দিন কে দিন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে, জয়ন্ত ক্রমশ যেন একটা কাঠ পাথর হয়ে যাচ্ছে, তার সাথে জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করা শুরু করেছে, ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে যেন। নাহ্, শ্যামলী আর কিছু সহ্য করতে পারবে না, সে চায় না আর কিছু সহ্য করতে, সে ঠিক করলো সম্পর্ক টা থেকে বেরিয়ে আসবে, যথা সময়ে ডিভোর্স হয়ে গেলো। এখন তারা আলাদা আলাদা।

জয়ন্ত এখন তার সমস্ত ঝামেলা কাটিয়ে উঠেছে, কিন্তু শান্তি নেই, সে তার শ্যামলী কে খুব মিস করছে, বুঝতে পারছে, খারাপ সময়ে সে শ্যামলীর সাথে নিজে না চাইতেও অনেক খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছে, সে তার পছন্দের মানুষ টাকে হারিয়ে ফেলেছে। তার জীবন টা যেন শূন্য। তার সব চেয়ে এটা ভেবে বেশি কষ্ট হচ্ছে, শ্যামলী তাকে বুঝল না, তাকে সুযোগ দিলো না, খারাপ সময়ে হাত টা শক্ত করে ধরতে হয়, সমস্যা হলে সমাধান করার চেষ্টা করতে হয়, কিন্তু কেউ ই কিছু করলো না, সময়ে।

শ্যামলী ভেবেছিল, জয়ন্ত কে ছেড়ে চলে এসে খুব ভালো থাকবে, কিন্তু সে ভালো থাকতে পারছে না, হ্যাঁ, সে কষ্ট পাচ্ছিল জয়ন্তর সাথে, জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করছিল, কিন্তু জয়ন্ত তো তার মনের মানুষ, শ্যামলী এখন মনে মনে ভাবছে, হয়তো জয়ন্ত কে একটু সুযোগ দিলে সব টা ঠিক হয়ে যেতো। শ্যামলী আর কিছু ভাবতে পারছে না, মন টা খুব ভারী হয়ে আসছে।

বছর খানেক চলে গেছে, কেউ কারো সাথে আর যোগাযোগ রাখেনি, শ্যামলী আলুমনি দাবি করেনি, তাই টাকা পয়সার লেন দেন ও রাখেনি। শ্যামলীর মন আর কিছু শুনতে চায় না, সে জয়ন্ত কে আবার ফিরে পেতে চায়, অন্তত ভালো মন্দ খবর টা তো নিতে পারবে, কালকে জয়ন্তর বার্থ ডে, শ্যামলী ভাবলো একটা ফুলের তোরা আর একটা ছোট্ট উইশ কার্ড কুরিয়ার করে দেবে জয়ন্ত কে। সেই মতো সে সব ব্যবস্থা করে পোস্ট করে দিল।

তিন দিন পরে কুরিয়ার রিটার্ন চলে এসেছে, শ্যামলী অবাক, তাহলে কি জয়ন্ত তার দেওয়া গিফট নিয়ে চায় না? জয়ন্ত কি শ্যামলী কে ঘৃনা করে?

শ্যামলী, একটা নাম্বার ডায়াল করলো, ওপর প্রান্ত থেকে সোনাই এর গলার আওয়াজ টা চিনতে পারল। শ্যামলী কোনো ভনিতা ছাড়াই সোজা জিজ্ঞেস করলো -- তোমাদের জয়ন্ত দার কি খবর ? সোনাই একটু আমতা আমতা করে, চাপা কান্নার মতো গলায় বলল, বুবাই দা তো আর নেই, বুবাই দা প্রায় দুই সপ্তাহ হলো, এই জগৎ ছেড়ে চলে গেছে, আর বাড়ি টা একটা ট্রাস্টি কে দিয়ে দিয়েছে, ওটার নাম রেখেছে "শ্যামলী অনাথ আশ্রম"। শ্যামলী-র গলা বন্ধ হয়ে এসেছে, হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেলো নিচে, দুই চোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ছে, তার কোনো বাহ্যিক জ্ঞান যেন আর নেই।
মর্মান্তিক লিখেছিস ভাই ✍ , কলম যেনো না থামে, কাজের ফাঁকে লিখতে থাকিস এরকম ❤️
 
অসহায়তা আর ভুল বোঝাবুঝির এক নিদারুণ পরিণতি। হয়তো একটু ধৈর্য, একটু বিশ্বাস, আর একটু সুযোগ সবটা বদলে দিতে পারত। খুব কষ্ট হলো শেষটা জেনে।
Awesome Intelligence
Thank you ❤️
 
শ্যামলী খুব নিরীহ টাইপের মেয়ে, একদিন কোনো এক ধূষর বিকেলের পড়ন্ত আলো তে দেখা হয়েছিল জয়ন্তর সঙ্গে। অস্তমিত সূর্যের মৃদু লালচে আভা জয়ন্ত-র গায়ে এসে পড়ছিল তাতে জয়ন্ত কে যেনো আরো বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে লাগলো শ্যামলীর। অবশ্য জয়ন্ত শুরু টা করেছিল, জয়ন্ত শ্যামলীর দিকে এগিয়ে এসে বলেছিল, "এই যে ম্যাডাম, জলের বোতল টা হবে একটু ?", শ্যামলী একটু থতমত খেয়ে গেছিল, নিজেকে সামলে নিয়ে জলের বোতল টা এগিয়ে দিয়েছিল একটা মৃদু হাসির সাথে। তার পরে দুজনে দুজনের সাথে কথা বলতে বলতে পরিচিতি বাড়তে থাকে, একে পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়, দুজনেই দুজন কে মনে মনে পছন্দ করতে শুরু করে। ব্যাপার টা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, বেশ ভালই কাটছিল দিন তাদের। হঠাৎ একদিন শ্যামলী বুঝতে পারে, কোনো কিছু নিয়ে জয়ন্ত চাপ এ আছে, যত দিন যায় জয়ন্ত যেন আরো চাপের মধ্যে ডুবে যেতে থাকে। শ্যামলী ভাবতে থাকে আমি ভুল করলাম না তো এই মানুষ টাকে নিজের করে নিয়ে? এই মানুষ টা আমাকে আর ভালো বাসে না, সে কি আদেও কখনও ভালবেসেছিল।

জয়ন্ত নিজে বুঝতে পারেনি, সে কি করছে, কেনো করছে, জীবনে তার যেন ইমোশান গুলো হারিয়ে ফেলেছে, কঠিন বাস্তব জয়ন্ত কে গিলে ফেলতে আসছে, জয়ন্ত ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার দুশ্চিন্তা শ্যামলী কে কিভাবে ভালো রাখবো ? কি ভাবে সমাজে ভালো থাকবো ? সব দিক সামলে উঠতে পারব তো ?

শ্যামলী, দিন কে দিন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে, জয়ন্ত ক্রমশ যেন একটা কাঠ পাথর হয়ে যাচ্ছে, তার সাথে জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করা শুরু করেছে, ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে যেন। নাহ্, শ্যামলী আর কিছু সহ্য করতে পারবে না, সে চায় না আর কিছু সহ্য করতে, সে ঠিক করলো সম্পর্ক টা থেকে বেরিয়ে আসবে, যথা সময়ে ডিভোর্স হয়ে গেলো। এখন তারা আলাদা আলাদা।

জয়ন্ত এখন তার সমস্ত ঝামেলা কাটিয়ে উঠেছে, কিন্তু শান্তি নেই, সে তার শ্যামলী কে খুব মিস করছে, বুঝতে পারছে, খারাপ সময়ে সে শ্যামলীর সাথে নিজে না চাইতেও অনেক খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছে, সে তার পছন্দের মানুষ টাকে হারিয়ে ফেলেছে। তার জীবন টা যেন শূন্য। তার সব চেয়ে এটা ভেবে বেশি কষ্ট হচ্ছে, শ্যামলী তাকে বুঝল না, তাকে সুযোগ দিলো না, খারাপ সময়ে হাত টা শক্ত করে ধরতে হয়, সমস্যা হলে সমাধান করার চেষ্টা করতে হয়, কিন্তু কেউ ই কিছু করলো না, সময়ে।

শ্যামলী ভেবেছিল, জয়ন্ত কে ছেড়ে চলে এসে খুব ভালো থাকবে, কিন্তু সে ভালো থাকতে পারছে না, হ্যাঁ, সে কষ্ট পাচ্ছিল জয়ন্তর সাথে, জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করছিল, কিন্তু জয়ন্ত তো তার মনের মানুষ, শ্যামলী এখন মনে মনে ভাবছে, হয়তো জয়ন্ত কে একটু সুযোগ দিলে সব টা ঠিক হয়ে যেতো। শ্যামলী আর কিছু ভাবতে পারছে না, মন টা খুব ভারী হয়ে আসছে।

বছর খানেক চলে গেছে, কেউ কারো সাথে আর যোগাযোগ রাখেনি, শ্যামলী আলুমনি দাবি করেনি, তাই টাকা পয়সার লেন দেন ও রাখেনি। শ্যামলীর মন আর কিছু শুনতে চায় না, সে জয়ন্ত কে আবার ফিরে পেতে চায়, অন্তত ভালো মন্দ খবর টা তো নিতে পারবে, কালকে জয়ন্তর বার্থ ডে, শ্যামলী ভাবলো একটা ফুলের তোরা আর একটা ছোট্ট উইশ কার্ড কুরিয়ার করে দেবে জয়ন্ত কে। সেই মতো সে সব ব্যবস্থা করে পোস্ট করে দিল।

তিন দিন পরে কুরিয়ার রিটার্ন চলে এসেছে, শ্যামলী অবাক, তাহলে কি জয়ন্ত তার দেওয়া গিফট নিয়ে চায় না? জয়ন্ত কি শ্যামলী কে ঘৃনা করে?

শ্যামলী, একটা নাম্বার ডায়াল করলো, ওপর প্রান্ত থেকে সোনাই এর গলার আওয়াজ টা চিনতে পারল। শ্যামলী কোনো ভনিতা ছাড়াই সোজা জিজ্ঞেস করলো -- তোমাদের জয়ন্ত দার কি খবর ? সোনাই একটু আমতা আমতা করে, চাপা কান্নার মতো গলায় বলল, বুবাই দা তো আর নেই, বুবাই দা প্রায় দুই সপ্তাহ হলো, এই জগৎ ছেড়ে চলে গেছে, আর বাড়ি টা একটা ট্রাস্টি কে দিয়ে দিয়েছে, ওটার নাম রেখেছে "শ্যামলী অনাথ আশ্রম"। শ্যামলী-র গলা বন্ধ হয়ে এসেছে, হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেলো নিচে, দুই চোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ছে, তার কোনো বাহ্যিক জ্ঞান যেন আর নেই।
দারুন লিখেছিস
 
শ্যামলী খুব নিরীহ টাইপের মেয়ে, একদিন কোনো এক ধূষর বিকেলের পড়ন্ত আলো তে দেখা হয়েছিল জয়ন্তর সঙ্গে। অস্তমিত সূর্যের মৃদু লালচে আভা জয়ন্ত-র গায়ে এসে পড়ছিল তাতে জয়ন্ত কে যেনো আরো বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে লাগলো শ্যামলীর। অবশ্য জয়ন্ত শুরু টা করেছিল, জয়ন্ত শ্যামলীর দিকে এগিয়ে এসে বলেছিল, "এই যে ম্যাডাম, জলের বোতল টা হবে একটু ?", শ্যামলী একটু থতমত খেয়ে গেছিল, নিজেকে সামলে নিয়ে জলের বোতল টা এগিয়ে দিয়েছিল একটা মৃদু হাসির সাথে। তার পরে দুজনে দুজনের সাথে কথা বলতে বলতে পরিচিতি বাড়তে থাকে, একে পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়, দুজনেই দুজন কে মনে মনে পছন্দ করতে শুরু করে। ব্যাপার টা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, বেশ ভালই কাটছিল দিন তাদের। হঠাৎ একদিন শ্যামলী বুঝতে পারে, কোনো কিছু নিয়ে জয়ন্ত চাপ এ আছে, যত দিন যায় জয়ন্ত যেন আরো চাপের মধ্যে ডুবে যেতে থাকে। শ্যামলী ভাবতে থাকে আমি ভুল করলাম না তো এই মানুষ টাকে নিজের করে নিয়ে? এই মানুষ টা আমাকে আর ভালো বাসে না, সে কি আদেও কখনও ভালবেসেছিল।

জয়ন্ত নিজে বুঝতে পারেনি, সে কি করছে, কেনো করছে, জীবনে তার যেন ইমোশান গুলো হারিয়ে ফেলেছে, কঠিন বাস্তব জয়ন্ত কে গিলে ফেলতে আসছে, জয়ন্ত ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার দুশ্চিন্তা শ্যামলী কে কিভাবে ভালো রাখবো ? কি ভাবে সমাজে ভালো থাকবো ? সব দিক সামলে উঠতে পারব তো ?

শ্যামলী, দিন কে দিন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে, জয়ন্ত ক্রমশ যেন একটা কাঠ পাথর হয়ে যাচ্ছে, তার সাথে জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করা শুরু করেছে, ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে যেন। নাহ্, শ্যামলী আর কিছু সহ্য করতে পারবে না, সে চায় না আর কিছু সহ্য করতে, সে ঠিক করলো সম্পর্ক টা থেকে বেরিয়ে আসবে, যথা সময়ে ডিভোর্স হয়ে গেলো। এখন তারা আলাদা আলাদা।

জয়ন্ত এখন তার সমস্ত ঝামেলা কাটিয়ে উঠেছে, কিন্তু শান্তি নেই, সে তার শ্যামলী কে খুব মিস করছে, বুঝতে পারছে, খারাপ সময়ে সে শ্যামলীর সাথে নিজে না চাইতেও অনেক খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছে, সে তার পছন্দের মানুষ টাকে হারিয়ে ফেলেছে। তার জীবন টা যেন শূন্য। তার সব চেয়ে এটা ভেবে বেশি কষ্ট হচ্ছে, শ্যামলী তাকে বুঝল না, তাকে সুযোগ দিলো না, খারাপ সময়ে হাত টা শক্ত করে ধরতে হয়, সমস্যা হলে সমাধান করার চেষ্টা করতে হয়, কিন্তু কেউ ই কিছু করলো না, সময়ে।

শ্যামলী ভেবেছিল, জয়ন্ত কে ছেড়ে চলে এসে খুব ভালো থাকবে, কিন্তু সে ভালো থাকতে পারছে না, হ্যাঁ, সে কষ্ট পাচ্ছিল জয়ন্তর সাথে, জয়ন্ত খারাপ ব্যাবহার করছিল, কিন্তু জয়ন্ত তো তার মনের মানুষ, শ্যামলী এখন মনে মনে ভাবছে, হয়তো জয়ন্ত কে একটু সুযোগ দিলে সব টা ঠিক হয়ে যেতো। শ্যামলী আর কিছু ভাবতে পারছে না, মন টা খুব ভারী হয়ে আসছে।

বছর খানেক চলে গেছে, কেউ কারো সাথে আর যোগাযোগ রাখেনি, শ্যামলী আলুমনি দাবি করেনি, তাই টাকা পয়সার লেন দেন ও রাখেনি। শ্যামলীর মন আর কিছু শুনতে চায় না, সে জয়ন্ত কে আবার ফিরে পেতে চায়, অন্তত ভালো মন্দ খবর টা তো নিতে পারবে, কালকে জয়ন্তর বার্থ ডে, শ্যামলী ভাবলো একটা ফুলের তোরা আর একটা ছোট্ট উইশ কার্ড কুরিয়ার করে দেবে জয়ন্ত কে। সেই মতো সে সব ব্যবস্থা করে পোস্ট করে দিল।

তিন দিন পরে কুরিয়ার রিটার্ন চলে এসেছে, শ্যামলী অবাক, তাহলে কি জয়ন্ত তার দেওয়া গিফট নিয়ে চায় না? জয়ন্ত কি শ্যামলী কে ঘৃনা করে?

শ্যামলী, একটা নাম্বার ডায়াল করলো, ওপর প্রান্ত থেকে সোনাই এর গলার আওয়াজ টা চিনতে পারল। শ্যামলী কোনো ভনিতা ছাড়াই সোজা জিজ্ঞেস করলো -- তোমাদের জয়ন্ত দার কি খবর ? সোনাই একটু আমতা আমতা করে, চাপা কান্নার মতো গলায় বলল, বুবাই দা তো আর নেই, বুবাই দা প্রায় দুই সপ্তাহ হলো, এই জগৎ ছেড়ে চলে গেছে, আর বাড়ি টা একটা ট্রাস্টি কে দিয়ে দিয়েছে, ওটার নাম রেখেছে "শ্যামলী অনাথ আশ্রম"। শ্যামলী-র গলা বন্ধ হয়ে এসেছে, হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেলো নিচে, দুই চোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ছে, তার কোনো বাহ্যিক জ্ঞান যেন আর নেই।
বেশি কিচ্ছু শব্দ খুজে পাচ্ছি না,
"শুধু গল্পে কবির বিয়ে হয়নে আর কবি এখনও জীবিত"
সম্পর্কে আজ কাল সবাই যেতে পারে,

কিন্তু

সেই সম্পর্কের হাত ধরে শেষ পর্যন্ত খুব কম মানুষই হাঁটতে পারে।।
 
Top