পর্ব ৫
"কাউকে দেখতে পেলেন?" আমি বললাম।
উনি বলে চললেন .. তখনও হাঁফাচ্ছেন ..."একটা বীভৎস মুখ, আর কালো রোমশ হাত ... of course কেউ সেজে এসেছিল। আমি আপনাদের ঘরেই আসছিলাম, মেনগেট খুলে আসতেই দেখি আপনাদের ঘরে আলো জ্বলছে, আর দরজার কাছে এক বীভৎস ছায়ামূর্তি। প্রথমটা হকচকিয়ে গেলাম ... গুলি চালাতেও পারছিনা ... আর কে-কে বলে চিৎকারও করতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত গতিক ভালো না বুঝে গুলি চালালাম... কিন্ত এত তাড়াতাড়ি যে অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে গেল ... নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছি না।"
হঠাৎ ভজহরি বাবু ছুটতে-ছুটতে এলেন,"কি হল? গুলির sound কেন ?" আমি ব্যাপারটা আলাদা করে ওনাকে বোঝালাম।
ইন্দ্রদা এবার মুখ খুলল,"আচ্ছা আপনি তো মেনগেট খুলে আসছিলেন, তাহলে যেই আসুক না কেন মেনগেট দিয়ে যেতে পারবে না। অবশ্য পুকুরের ধারে বেড়া দেওয়া রাস্তাটা রয়েছে, কিন্ত এত তাড়াতাড়ি কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ... একবার চলুন তো ওদিকটা দেখে আসি।"
আমরা সবাই পুকুরের ধারে এলাম। শুকনো মাটি ...বৃষ্টি নেই...তাই পায়ের ছাপ খোঁজা বৃথা। তাবু ইন্দ্রদা চারপাশ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করছে। একটা্ ছেঁড়া চটি ছাড়া কিছু পাওয়া গেল না...ওটা অবশ্য ভজহরি বাবুর কয়েক দিন আগে ফেলে দেওয়া পুরনো চটি। আমি, ইন্দ্রদা, ইন্সস্পেক্টর সায়ন রায়, আর সবার পেছনে ভজহরি বাবু শেষ পর্যন্ত ঘরে এলাম। ওনার মুখে আশঙ্কার ভাবটা তখনও কাটেনি। ইন্সস্পেক্টর রায় সবার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেন। ভজহরি বাবুর মুখ দেখে মনে হল হ্যান্ডশেক করার সময় আঙ্গুলে বেশ লেগেছে। আমরা তিনজন খাটে আর ইন্দ্রদা চেয়ারে বসল। ইন্দ্রদাকে দেখছি একটু অন্যমনস্ক হয়ে আছে ... হয়তো কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা সম্পর্কে ভাবছে।
সায়ন রায় বলে উঠলেন,"কি এত ভাবছেন ইন্দ্র বাবু ? অপরাধীরা তো জেনেই গেছে তাদের পেছনে পুলিশ লেগেছে, তাই আমাদের embarrassed করছে।"
ইন্দ্রদা বলল,"কি বললেন রায়বাবু?"
"আপনি একটু বেশিই thoughtful হয়ে যাচ্ছেন। আমি বলছি যে, অপরাধীরা কি জানে না ভেবেছেন, আমরা এখানে কি কারনে এসেছি ?"
"তার মানে ছদ্মবেশ। তবে আমি ভাবছি একটা অসম্ভব ব্যাপার সম্পর্কে ... আর একটা সন্দেহের ঝিলিক ..."
দেখলাম ভজহরি চাটূজ্জের তোবড়ানো গালদুটো আরও চুপসে গেছে ... ইন্সপেক্টরের দৃষ্টিও ওনার দিকে।
উনি বলে ঊঠলেন,"দেখুন, আমি মানে ... ভজহরি চাটুজ্জে ... মানে, my চোদ্দ পুরুষ ... আত্মা মানে প্রেত ... মানে ভুতে বিশ্বাসী...মানে ইংরেজিতে যাকে বলে, মানে ...মানে..."
"Ghost," আমি বলে উঠলাম।
"হ্যাঁ, আমার মনে হয় এসবই ভুতের play । আপনারা তদন্ত করুন, যা খুশি করুন ... তবে please আমার house কে ভুতের house করে দেবেন না।"
ইন্দ্রদা হঠাৎ প্রসঙ্গ বদলে হাসতে-হাসতে বলল,"ইন্সপেক্টর রায়, আপনি তো মশাই পুলিশের লোক, তা আপনি জ্যোতিষেও বিশ্বাস করেন দেখছি।"
আসলে আমিও লক্ষ্য করেছিলাম সায়ন রায় ডান হাতে চারটে আঙ্গুলেই আংটি পড়েছেন। যেখানে ইন্দ্রদার মত মানুষ এই জ্যোতিষ শাস্ত্রটির ঘোর বিরোধী, সেখানে এই প্রশ্নটা করা অমূলক নয়। তবে ইন্দ্রদাকে এর আগেও দেখেছি চিন্তার মুহুর্ত গুলোতে ও প্রসঙ্গ বদলে সবাইকে অন্য দিকে concentrate করাতে চায়। কাল সকালে ডাকবাংলো যাবার কথা final করে ইন্সপেক্টর রায় উঠলেন। ভজহরি বাবুও উঠতে যাচ্ছিলেন, ইন্দ্রদাই ওনাকে বসতে বলল।
"আচ্ছা ভজহরি বাবু, আপনি ঐ পরিত্যক্ত বাংলোটা সম্পর্কে যদি কিছু জানেন তাহলে kindly একটু বলুন। তাতে আমাদের investigation এর সুবিধে হবে।"
"মানে সত্যি বাড়িটা ভুতুড়ে ইন্দ্রজিৎ বাবু। এটা যদিও আমার hear কথা ... নিজে ওদিকে কক্ষনো foot ফেলিনি। মানে আমাদের গ্রামের এক old man এর কাছে i hear ...ঐ house এ নাকি গুপ্তধন আছে... আর ওরা ... মানে ওরা গুপ্তধন আগলে রাখে।"
"কারা ?"
"রাম রাম রাম... মানে ওদের name মুখে আনতে নেই। আপনি কি go?...মানে ঐ old man ... মানে ভোলাবাবার কাছে?"
"ভোলাবাবা ?"
"Yes, ওনার name। কালকে আপনাদের নিয়ে যাবো। এখন আমি go... ওদিকে cook কতদূর দেখে আসি... রাতে খেতে হবে তো!"
পরবর্তী পর্ব খুবই শীঘ্রই পেয়ে যাবেন, পড়তে থাকুন সঙ্গে থাকুন।
কেমন লাগছে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু
@Anshhi @Uronchondi @Anshh3 @Bhoot @Maity Adi @Babai_43 @JISHU @Ladywiththelamp @Ankita @misstti @RitamRoy @ANNA007