• We kindly request chatzozo forum members to follow forum rules to avoid getting a temporary suspension. Do not use non-English languages in the International Sex Chat Discussion section. This section is mainly created for everyone who uses English as their communication language.

মস্তিষ্কপ্রসূত বর্জ্য

Meghnad

Epic Legend
Chat Pro User
ঘুম না আসার পরেও চোখের পাতার ভিতর গরম ভাপ অনুভব হয়। চোখের নিচের পাতার পাপড়িগুলো কেমন খটখটে মনে হয়। ছেলেবেলায় দুপুরবেলায় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বারান্দায় লুকিয়ে লুকিয়ে খেলতাম। মায়ের শাড়িতে মাড় দিয়ে শুকোতে দেয়া সেখানে। কেমন শক্ত মচমচে মনে হয় শাড়িটা ধরলে। চোখের নিচের পাতার পাপড়িগুলোও ঠিক তেমনি।

খচখচ করে চোখ বন্ধ হলে। না, কনজাংটিভাইটিস নয়। কোন ভাইটিস আমি জানি না। এধরনের বক্তব্যে অনেকে কান্নার সাথে মিলিয়ে দিতে পারে বিষয়টাকে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর মানুষ কান্না করাটাকে বাদ দিয়ে দেয়। এমন নয় কান্না বিষয়টা মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে তখন। আসলে কান্না তখন মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য যথেষ্ট না৷

ছোট বাচ্চাদের দেখুন। পড়ে গেল, কেউ ধমক দিল, কিংবা খিলখিল হাসিতে দৌড়তে দৌড়তে একটা গুতো খেলো কোথাও। ভ্যা ভ্যা করে কান্না করবে। সেই বাচ্চাটাই ২৫ বছর পর দড়াম করে আছাড় খেয়ে খ্যাক খ্যাক করে হাসবে। সময়ের সাথে সাথে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষাও বদলে যেতে থাকে। কান্না করার জন্য ফুসফুসে দম ছাড়া আর কিছুই লাগে না। কান্না অর্থাৎ চিতকার। সেটা লোকে রাগেও করতে পারে, ব্যাথায় ও, আবার অসহায় হয়েও করতে পারে। এর সাথে চোখের পানির সম্পর্ক কি জানি না আমি। হয়তো দৃষ্টি ঝাপসা করে দিয়ে পরিপার্শ্ব থেকে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এখন আর তা হয় না। লোকে নেশা করে ভুলে থাকে। অনেকে নিরুদ্দেশযাত্রায় লিপ্ত হয় কিংবা জুয়ার আড্ডায় সকল সম্ভাবনা গুড়িয়ে হাতে আসা তাসের সারির দিকে তাকিয়ে এড্রেনালিন এর ছুটে চলাকে অনুভব করতে করতে সেই অবস্থার বিকল্প খোঁজে।

হাসি-কান্না-নিরবতা-চঞ্চলতা সকলই মূল্যহীন। যখন বলার ইচ্ছে করবে বলার কিছুই নেই। এই অবস্থাটাই মানুষের সবচেয়ে ব্যক্তিগত অনুভূতি। চাইলেও যে এটা কাউকে বোঝানো যায় না। আগেও যায় নি, কখনও যাবে না।

বাম ভ্রুর স্ফীত অংশটা যেখানে, সেখানে একটা চিকন শিরা আছে। কপালের চামড়ার নিচ দিয়ে মাথার চুলের ভেতর কোথায় হারিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে সেখানের মোটা গায়ে রক্তের সংঘর্ষ বেড়ে যায়। সেটা ফুলে ওঠে। চোখে দেখি না, হাত দিয়ে ধরলে বুঝতে পারি। ভাল লাগে। কথা বলে আমার সাথে। স্পন্দনহীন শিরার ভেতরেও আমি রক্তের ছুটে চলা অনুভব করি হাতের আঙুলের ডগায়।

এরচাইতেও প্রখরভাবে অনুভব করি তোমাকে, চোখে দেখা যায় না। কিন্তু চাইলে বুঝতে পারি।

গলগল করে নাক মুখ দিয়ে যখন বিষাক্ত বাতাস বের করে দিই আমি, তখন শরীরের প্রতিটা হাড়ের ফাকে জমে থাকা ফ্লুইডগুলোও স্বস্তি অনুভব করে, যেগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল ই ছিলাম না। জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর সময়ের অনুভূতিটাও সেরকম, আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।

কাকচক্ষু-রক্তচক্ষু- শূণ্যদৃষ্টি-টিনের চশমা কিচ্ছু আমার নেই। মাইনাস পাওয়ারের প্লাস্টিকের স্বচ্ছ চশ্মা। খুলে ফেললে ঝাপসা দেখি। অথচ চোখ বন্ধ করে অন্ধকার জলের তলায় মাথা ডুবিয়েও তোমায় পরিষ্কার দেখা যায়। চোখটা অপ্রয়োজনীয় এই দৃষ্টিকোণে। তুমি থাকাটাই জরুরী, আমার ভেতরে তোমার থাকাটাই জরুরী৷

আমার বদ্ধ ঘরে, খোলা ছাদের শিশিরগোলা বাতাসে আমি ধোঁয়ার মেঘ সৃষ্টি করি। খেলা দেখি। আমিই দেখি, কেউ দেখে না৷ আমিই বুঝি, কেউ বোঝে না। আমিই জানি, কেউ জানে না। আমি বলিও, কেউ শোনে না।
 
ঘুম না আসার পরেও চোখের পাতার ভিতর গরম ভাপ অনুভব হয়। চোখের নিচের পাতার পাপড়িগুলো কেমন খটখটে মনে হয়। ছেলেবেলায় দুপুরবেলায় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বারান্দায় লুকিয়ে লুকিয়ে খেলতাম। মায়ের শাড়িতে মাড় দিয়ে শুকোতে দেয়া সেখানে। কেমন শক্ত মচমচে মনে হয় শাড়িটা ধরলে। চোখের নিচের পাতার পাপড়িগুলোও ঠিক তেমনি।

খচখচ করে চোখ বন্ধ হলে। না, কনজাংটিভাইটিস নয়। কোন ভাইটিস আমি জানি না। এধরনের বক্তব্যে অনেকে কান্নার সাথে মিলিয়ে দিতে পারে বিষয়টাকে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর মানুষ কান্না করাটাকে বাদ দিয়ে দেয়। এমন নয় কান্না বিষয়টা মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে তখন। আসলে কান্না তখন মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য যথেষ্ট না৷

ছোট বাচ্চাদের দেখুন। পড়ে গেল, কেউ ধমক দিল, কিংবা খিলখিল হাসিতে দৌড়তে দৌড়তে একটা গুতো খেলো কোথাও। ভ্যা ভ্যা করে কান্না করবে। সেই বাচ্চাটাই ২৫ বছর পর দড়াম করে আছাড় খেয়ে খ্যাক খ্যাক করে হাসবে। সময়ের সাথে সাথে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষাও বদলে যেতে থাকে। কান্না করার জন্য ফুসফুসে দম ছাড়া আর কিছুই লাগে না। কান্না অর্থাৎ চিতকার। সেটা লোকে রাগেও করতে পারে, ব্যাথায় ও, আবার অসহায় হয়েও করতে পারে। এর সাথে চোখের পানির সম্পর্ক কি জানি না আমি। হয়তো দৃষ্টি ঝাপসা করে দিয়ে পরিপার্শ্ব থেকে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এখন আর তা হয় না। লোকে নেশা করে ভুলে থাকে। অনেকে নিরুদ্দেশযাত্রায় লিপ্ত হয় কিংবা জুয়ার আড্ডায় সকল সম্ভাবনা গুড়িয়ে হাতে আসা তাসের সারির দিকে তাকিয়ে এড্রেনালিন এর ছুটে চলাকে অনুভব করতে করতে সেই অবস্থার বিকল্প খোঁজে।

হাসি-কান্না-নিরবতা-চঞ্চলতা সকলই মূল্যহীন। যখন বলার ইচ্ছে করবে বলার কিছুই নেই। এই অবস্থাটাই মানুষের সবচেয়ে ব্যক্তিগত অনুভূতি। চাইলেও যে এটা কাউকে বোঝানো যায় না। আগেও যায় নি, কখনও যাবে না।

বাম ভ্রুর স্ফীত অংশটা যেখানে, সেখানে একটা চিকন শিরা আছে। কপালের চামড়ার নিচ দিয়ে মাথার চুলের ভেতর কোথায় হারিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে সেখানের মোটা গায়ে রক্তের সংঘর্ষ বেড়ে যায়। সেটা ফুলে ওঠে। চোখে দেখি না, হাত দিয়ে ধরলে বুঝতে পারি। ভাল লাগে। কথা বলে আমার সাথে। স্পন্দনহীন শিরার ভেতরেও আমি রক্তের ছুটে চলা অনুভব করি হাতের আঙুলের ডগায়।

এরচাইতেও প্রখরভাবে অনুভব করি তোমাকে, চোখে দেখা যায় না। কিন্তু চাইলে বুঝতে পারি।

গলগল করে নাক মুখ দিয়ে যখন বিষাক্ত বাতাস বের করে দিই আমি, তখন শরীরের প্রতিটা হাড়ের ফাকে জমে থাকা ফ্লুইডগুলোও স্বস্তি অনুভব করে, যেগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল ই ছিলাম না। জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর সময়ের অনুভূতিটাও সেরকম, আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।

কাকচক্ষু-রক্তচক্ষু- শূণ্যদৃষ্টি-টিনের চশমা কিচ্ছু আমার নেই। মাইনাস পাওয়ারের প্লাস্টিকের স্বচ্ছ চশ্মা। খুলে ফেললে ঝাপসা দেখি। অথচ চোখ বন্ধ করে অন্ধকার জলের তলায় মাথা ডুবিয়েও তোমায় পরিষ্কার দেখা যায়। চোখটা অপ্রয়োজনীয় এই দৃষ্টিকোণে। তুমি থাকাটাই জরুরী, আমার ভেতরে তোমার থাকাটাই জরুরী৷

আমার বদ্ধ ঘরে, খোলা ছাদের শিশিরগোলা বাতাসে আমি ধোঁয়ার মেঘ সৃষ্টি করি। খেলা দেখি। আমিই দেখি, কেউ দেখে না৷ আমিই বুঝি, কেউ বোঝে না। আমিই জানি, কেউ জানে না। আমি বলিও, কেউ শোনে না।
Khub sundor lekhoni tor...keep it up.... ekhane onek kei takkor dibi .... :clapping:
 
ঘুম না আসার পরেও চোখের পাতার ভিতর গরম ভাপ অনুভব হয়। চোখের নিচের পাতার পাপড়িগুলো কেমন খটখটে মনে হয়। ছেলেবেলায় দুপুরবেলায় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বারান্দায় লুকিয়ে লুকিয়ে খেলতাম। মায়ের শাড়িতে মাড় দিয়ে শুকোতে দেয়া সেখানে। কেমন শক্ত মচমচে মনে হয় শাড়িটা ধরলে। চোখের নিচের পাতার পাপড়িগুলোও ঠিক তেমনি।

খচখচ করে চোখ বন্ধ হলে। না, কনজাংটিভাইটিস নয়। কোন ভাইটিস আমি জানি না। এধরনের বক্তব্যে অনেকে কান্নার সাথে মিলিয়ে দিতে পারে বিষয়টাকে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর মানুষ কান্না করাটাকে বাদ দিয়ে দেয়। এমন নয় কান্না বিষয়টা মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে তখন। আসলে কান্না তখন মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য যথেষ্ট না৷

ছোট বাচ্চাদের দেখুন। পড়ে গেল, কেউ ধমক দিল, কিংবা খিলখিল হাসিতে দৌড়তে দৌড়তে একটা গুতো খেলো কোথাও। ভ্যা ভ্যা করে কান্না করবে। সেই বাচ্চাটাই ২৫ বছর পর দড়াম করে আছাড় খেয়ে খ্যাক খ্যাক করে হাসবে। সময়ের সাথে সাথে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষাও বদলে যেতে থাকে। কান্না করার জন্য ফুসফুসে দম ছাড়া আর কিছুই লাগে না। কান্না অর্থাৎ চিতকার। সেটা লোকে রাগেও করতে পারে, ব্যাথায় ও, আবার অসহায় হয়েও করতে পারে। এর সাথে চোখের পানির সম্পর্ক কি জানি না আমি। হয়তো দৃষ্টি ঝাপসা করে দিয়ে পরিপার্শ্ব থেকে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এখন আর তা হয় না। লোকে নেশা করে ভুলে থাকে। অনেকে নিরুদ্দেশযাত্রায় লিপ্ত হয় কিংবা জুয়ার আড্ডায় সকল সম্ভাবনা গুড়িয়ে হাতে আসা তাসের সারির দিকে তাকিয়ে এড্রেনালিন এর ছুটে চলাকে অনুভব করতে করতে সেই অবস্থার বিকল্প খোঁজে।

হাসি-কান্না-নিরবতা-চঞ্চলতা সকলই মূল্যহীন। যখন বলার ইচ্ছে করবে বলার কিছুই নেই। এই অবস্থাটাই মানুষের সবচেয়ে ব্যক্তিগত অনুভূতি। চাইলেও যে এটা কাউকে বোঝানো যায় না। আগেও যায় নি, কখনও যাবে না।

বাম ভ্রুর স্ফীত অংশটা যেখানে, সেখানে একটা চিকন শিরা আছে। কপালের চামড়ার নিচ দিয়ে মাথার চুলের ভেতর কোথায় হারিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে সেখানের মোটা গায়ে রক্তের সংঘর্ষ বেড়ে যায়। সেটা ফুলে ওঠে। চোখে দেখি না, হাত দিয়ে ধরলে বুঝতে পারি। ভাল লাগে। কথা বলে আমার সাথে। স্পন্দনহীন শিরার ভেতরেও আমি রক্তের ছুটে চলা অনুভব করি হাতের আঙুলের ডগায়।

এরচাইতেও প্রখরভাবে অনুভব করি তোমাকে, চোখে দেখা যায় না। কিন্তু চাইলে বুঝতে পারি।

গলগল করে নাক মুখ দিয়ে যখন বিষাক্ত বাতাস বের করে দিই আমি, তখন শরীরের প্রতিটা হাড়ের ফাকে জমে থাকা ফ্লুইডগুলোও স্বস্তি অনুভব করে, যেগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল ই ছিলাম না। জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর সময়ের অনুভূতিটাও সেরকম, আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।

কাকচক্ষু-রক্তচক্ষু- শূণ্যদৃষ্টি-টিনের চশমা কিচ্ছু আমার নেই। মাইনাস পাওয়ারের প্লাস্টিকের স্বচ্ছ চশ্মা। খুলে ফেললে ঝাপসা দেখি। অথচ চোখ বন্ধ করে অন্ধকার জলের তলায় মাথা ডুবিয়েও তোমায় পরিষ্কার দেখা যায়। চোখটা অপ্রয়োজনীয় এই দৃষ্টিকোণে। তুমি থাকাটাই জরুরী, আমার ভেতরে তোমার থাকাটাই জরুরী৷

আমার বদ্ধ ঘরে, খোলা ছাদের শিশিরগোলা বাতাসে আমি ধোঁয়ার মেঘ সৃষ্টি করি। খেলা দেখি। আমিই দেখি, কেউ দেখে না৷ আমিই বুঝি, কেউ বোঝে না। আমিই জানি, কেউ জানে না। আমি বলিও, কেউ শোনে না।
দারুণ হয়েছে, দাদা :clapping: :heart1:
 
Top