আজকের বিকেল টা অদ্ভুত রকমের ব্যক্তিগত
কেমন যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নীরব,স্যাঁতসেঁতে, একটু ধোঁয়াটে, বড্ড বেমানান । বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে, আর ভেতরে আমি , চুপ করে বসে, কোনো কথা না বলে, শুধু শুনছি।
বৃষ্টি একরকম হয়, যেন একটা পুরনো চিঠি, যা বারবার পড়লেও ঠিক বুঝে ওঠা যায় না। রাস্তায় জল জমেছে, রাস্তার পাশের দুবব্য ঘাস ভেসে গেছে, ফুটপাতের ধারে একটা ছোট্ট দোকান চা দিচ্ছে, একটা সিগারেটের ধোঁয়া মিশে যাচ্ছে বাতাসে।আর তারই মধ্যে আমি বসে আছি। জানালাটা আধখোলা, পর্দা উড়ে এসে গাল ছুঁয়ে যায় মাঝে মাঝে, ছোঁয়া টা কেমন এক পরিচিত অথচ অস্পষ্ট।
নস্ট্যালজিয়ার সঙ্গে ধুলো মিশে যেমন গন্ধ তৈরি করে, ঠিক সেইরকম।
কেউ ছাতা ছাড়া দৌড়চ্ছে, কেউ জানালার গ্লাসে হাত রেখে বাইরের ঝাপসা শহর দেখছে, আর আমি? আমি এই ভেজা দুপুরে, একা একটা ঘরে বসে, ভাবছি এই শহর কি আমায় এখনও চেনে?আমি এই শহরেরই লোক, নাম নেই, সাফল্য নেই, তবু লড়াই আছেই।
এই শহরে রোববার সব কিছুই একটু ধীর, একটু ক্লান্ত। দুপুরে একটু ভাতঘুম, সন্ধ্যায় পাড়ার আলো, আর রাতে, চোখে ঘুম না থাকা সত্ত্বেও বিছানায় শুয়ে থাকা। কয়েকটা অসমাপ্ত টেক্সট , কিছু বলা না হওয়া কথা, আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে তাকিয়ে থাকা। আর রাতজাগা সিনেমা দেখে ঘুম না আসা।
মাঝেমাঝে মনে হয়, আমি কি সেই মানুষটা, যা হওয়ার কথা ছিল? নাকি আমি শুধুই একটা অভ্যাস, যে হারিয়ে গেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, অথচ নিজের অস্তিত্বের গন্ধ এখনো বৃষ্টির পরের ভেজা মাটিতে রয়ে গেছে?
এই বৃষ্টিভেজা দুপুর গুলোতে শুধু একটা কথা বারবার মনে হয় , কিছু কিছু একাকীত্ব থাকে, যাকে আর ভুলে যাওয়া যায় না। শুধু সাথে বয়ে নিয়ে যেতে হয়… এই বৃষ্টির মতো, নীরব, নরম, কখনও নির্মম অথচ গা-ছমছমে ভাবে চেনা।
এই শহরটার মতো, যে কখনওই কাউকে পুরোপুরি ফেলে দেয় না। শুধু অভ্যস্ত হয়ে যায় হারিয়ে যাওয়ার সাথে।
দুপুর, এই বৃষ্টি, এই নরম ভেজা গন্ধ, সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে আমি কোথাও নেই, কিন্তু আবার ঠিক এখানেই আছি। ফিরে না আসা মানুষগুলোর ভেতর, হারিয়ে যাওয়া কথাগুলোর পাশে, একটা নীরব উপস্থিতি হয়ে।
একটা চেনা জানালা, এক কাপ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া চা, আর আমি।
কেমন যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নীরব,স্যাঁতসেঁতে, একটু ধোঁয়াটে, বড্ড বেমানান । বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে, আর ভেতরে আমি , চুপ করে বসে, কোনো কথা না বলে, শুধু শুনছি।
বৃষ্টি একরকম হয়, যেন একটা পুরনো চিঠি, যা বারবার পড়লেও ঠিক বুঝে ওঠা যায় না। রাস্তায় জল জমেছে, রাস্তার পাশের দুবব্য ঘাস ভেসে গেছে, ফুটপাতের ধারে একটা ছোট্ট দোকান চা দিচ্ছে, একটা সিগারেটের ধোঁয়া মিশে যাচ্ছে বাতাসে।আর তারই মধ্যে আমি বসে আছি। জানালাটা আধখোলা, পর্দা উড়ে এসে গাল ছুঁয়ে যায় মাঝে মাঝে, ছোঁয়া টা কেমন এক পরিচিত অথচ অস্পষ্ট।
নস্ট্যালজিয়ার সঙ্গে ধুলো মিশে যেমন গন্ধ তৈরি করে, ঠিক সেইরকম।
কেউ ছাতা ছাড়া দৌড়চ্ছে, কেউ জানালার গ্লাসে হাত রেখে বাইরের ঝাপসা শহর দেখছে, আর আমি? আমি এই ভেজা দুপুরে, একা একটা ঘরে বসে, ভাবছি এই শহর কি আমায় এখনও চেনে?আমি এই শহরেরই লোক, নাম নেই, সাফল্য নেই, তবু লড়াই আছেই।
এই শহরে রোববার সব কিছুই একটু ধীর, একটু ক্লান্ত। দুপুরে একটু ভাতঘুম, সন্ধ্যায় পাড়ার আলো, আর রাতে, চোখে ঘুম না থাকা সত্ত্বেও বিছানায় শুয়ে থাকা। কয়েকটা অসমাপ্ত টেক্সট , কিছু বলা না হওয়া কথা, আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে তাকিয়ে থাকা। আর রাতজাগা সিনেমা দেখে ঘুম না আসা।
মাঝেমাঝে মনে হয়, আমি কি সেই মানুষটা, যা হওয়ার কথা ছিল? নাকি আমি শুধুই একটা অভ্যাস, যে হারিয়ে গেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, অথচ নিজের অস্তিত্বের গন্ধ এখনো বৃষ্টির পরের ভেজা মাটিতে রয়ে গেছে?
এই বৃষ্টিভেজা দুপুর গুলোতে শুধু একটা কথা বারবার মনে হয় , কিছু কিছু একাকীত্ব থাকে, যাকে আর ভুলে যাওয়া যায় না। শুধু সাথে বয়ে নিয়ে যেতে হয়… এই বৃষ্টির মতো, নীরব, নরম, কখনও নির্মম অথচ গা-ছমছমে ভাবে চেনা।
এই শহরটার মতো, যে কখনওই কাউকে পুরোপুরি ফেলে দেয় না। শুধু অভ্যস্ত হয়ে যায় হারিয়ে যাওয়ার সাথে।
দুপুর, এই বৃষ্টি, এই নরম ভেজা গন্ধ, সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে আমি কোথাও নেই, কিন্তু আবার ঠিক এখানেই আছি। ফিরে না আসা মানুষগুলোর ভেতর, হারিয়ে যাওয়া কথাগুলোর পাশে, একটা নীরব উপস্থিতি হয়ে।
একটা চেনা জানালা, এক কাপ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া চা, আর আমি।