• We kindly request chatzozo forum members to follow forum rules to avoid getting a temporary suspension. Do not use non-English languages in the International Sex Chat Discussion section. This section is mainly created for everyone who uses English as their communication language.

বাংলা নববর্ষের ইতিহাস

Alcyoneus

Epic Legend
Chat Pro User
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস অত্যন্ত পুরানো এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। বাংলা সনের প্রচলন মূলত মুঘল সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হয়। তবে এর প্রাথমিক সূত্রপাতের ইতিহাস সঠিকভাবে জানা না গেলেও ঐতিহাসিকদের মতে বাংলা নববর্ষের প্রচলন ঘটে মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে।সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। 1556 খ্রিষ্টাব্দের 10ই মার্চ বা 992 হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (5ই নভেম্বর, 1556) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।1556 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর রাজত্বকালে একটি নতুন সালনামা বা পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন যাকে বলা হয় 'ফসলি সন'। এই নতুন পঞ্জিকার সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল কর আদায়ের সময় নির্ধারণ করা। আকবরের আমলে কর আদায়ের প্রক্রিয়া অধিকতর সুব্যবস্থাপনায় আনার জন্য এবং ফসল কাটার সময় অনুযায়ী কর নির্ধারণের জন্য এই সন প্রণয়ন করা হয়। ফসলি সনের প্রথম দিন হিসেবে বৈশাখ মাসের 1লা তারিখকে চিহ্নিত করা হয়, যা বর্তমানে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়।আবার কেউ কেউ মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নববর্ষের উৎসবগুলো হিন্দু বিক্রমী দিনপঞ্জির সাথে সম্পর্কিত। এই দিনপঞ্জির নামকরণ করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব 57 অব্দে বিক্রমাদিত্যের নাম অনুসারে।ভারতের গ্রামীণ বাঙ্গালি সম্প্রদায়ে ভারতের অনেক অঞ্চল ও নেপালের মত বিক্রমাদিত্যকে বাংলা দিনপঞ্জির আবির্ভাবের স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু সেই অঞ্চলগুলোর মত বাংলায় বঙ্গাব্দের সূচনা 57 খ্রিস্টপূর্বে হয়নি, বরং 593 খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়েছিল, যা নির্দেশ করছে বঙ্গাব্দের সূচনা প্রমাণ সময়কে কোন একসময় পরিবর্তিত করা হয়েছে।মনে করা হয় শশাঙ্কের শাসনামলেই এই পরিবর্তন হয়। যদিও বাংলা নববর্ষ পালনের রীতি মুঘল আমল থেকে বঙ্গের বুকে চালু হয়ে আসলেও, এটি সময়ের সাথে সাথে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে এবং এখন এটি বাংলা জাতির সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পালিত হয়। নববর্ষের এই উদযাপন বাঙালি জাতির জীবনে নতুন উদ্যম ও সংকল্পের জন্ম দেয়।বর্তমানে, বাংলা নববর্ষ নিয়ে বাঙালির উৎসবের রূপ অত্যন্ত বর্ণিল এবং এটি বিশ্বব্যাপী যেখানে যেখানে বাঙালি সম্প্রদায় রয়েছে, সেখানে সেখানে পালিত হয়।
---Notification images.jpeg
 
Last edited:
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস অত্যন্ত পুরানো এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। বাংলা সনের প্রচলন মূলত মুঘল সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হয়। তবে এর প্রাথমিক সূত্রপাতের ইতিহাস সঠিকভাবে জানা না গেলেও ঐতিহাসিকদের মতে বাংলা নববর্ষের প্রচলন ঘটে মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে।সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। 1556 খ্রিষ্টাব্দের 10ই মার্চ বা 992 হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (5ই নভেম্বর, 1556) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।1556 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর রাজত্বকালে একটি নতুন সালনামা বা পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন যাকে বলা হয় 'ফসলি সন'। এই নতুন পঞ্জিকার সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল কর আদায়ের সময় নির্ধারণ করা। আকবরের আমলে কর আদায়ের প্রক্রিয়া অধিকতর সুব্যবস্থাপনায় আনার জন্য এবং ফসল কাটার সময় অনুযায়ী কর নির্ধারণের জন্য এই সন প্রণয়ন করা হয়। ফসলি সনের প্রথম দিন হিসেবে বৈশাখ মাসের 1লা তারিখকে চিহ্নিত করা হয়, যা বর্তমানে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়।আবার কেউ কেউ মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নববর্ষের উৎসবগুলো হিন্দু বিক্রমী দিনপঞ্জির সাথে সম্পর্কিত। এই দিনপঞ্জির নামকরণ করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব 57 অব্দে বিক্রমাদিত্যের নাম অনুসারে।ভারতের গ্রামীণ বাঙ্গালি সম্প্রদায়ে ভারতের অনেক অঞ্চল ও নেপালের মত বিক্রমাদিত্যকে বাংলা দিনপঞ্জির আবির্ভাবের স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু সেই অঞ্চলগুলোর মত বাংলায় বঙ্গাব্দের সূচনা 57 খ্রিস্টপূর্বে হয়নি, বরং 593 খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়েছিল, যা নির্দেশ করছে বঙ্গাব্দের সূচনা প্রমাণ সময়কে কোন একসময় পরিবর্তিত করা হয়েছে।মনে করা হয় শশাঙ্কের শাসনামলেই এই পরিবর্তন হয়। যদিও বাংলা নববর্ষ পালনের রীতি মুঘল আমল থেকে বঙ্গের বুকে চালু হয়ে আসলেও, এটি সময়ের সাথে সাথে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে এবং এখন এটি বাংলা জাতির সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পালিত হয়। নববর্ষের এই উদযাপন বাঙালি জাতির জীবনে নতুন উদ্যম ও সংকল্পের জন্ম দেয়।বর্তমানে, বাংলা নববর্ষ নিয়ে বাঙালির উৎসবের রূপ অত্যন্ত বর্ণিল এবং এটি বিশ্বব্যাপী যেখানে যেখানে বাঙালি সম্প্রদায় রয়েছে, সেখানে সেখানে পালিত হয়।
---Notification View attachment 224972
Onek na jana history jene valo laglo.....
 
original-1b5019ab-ff45-41a6-adc2-33625d3ebc01.png
তোমাকেও শুভ নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই তোমাকে আর তোমার পরিবার কে ও। খুব খুব ভালো কাটুক এই নতুন বছর, সুখ সমৃদ্ধি তে ভরে উঠুক তোমার জীবন ।
 
View attachment 224999
তোমাকেও শুভ নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই তোমাকে আর তোমার পরিবার কে ও। খুব খুব ভালো কাটুক এই নতুন বছর, সুখ সমৃদ্ধি তে ভরে উঠুক তোমার জীবন ।
ধন্যবাদ ,তোমাকেও শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন বছর খুব শুভ যাক কামনা করি
 
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস অত্যন্ত পুরানো এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। বাংলা সনের প্রচলন মূলত মুঘল সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হয়। তবে এর প্রাথমিক সূত্রপাতের ইতিহাস সঠিকভাবে জানা না গেলেও ঐতিহাসিকদের মতে বাংলা নববর্ষের প্রচলন ঘটে মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে।সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। 1556 খ্রিষ্টাব্দের 10ই মার্চ বা 992 হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (5ই নভেম্বর, 1556) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।1556 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর রাজত্বকালে একটি নতুন সালনামা বা পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন যাকে বলা হয় 'ফসলি সন'। এই নতুন পঞ্জিকার সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল কর আদায়ের সময় নির্ধারণ করা। আকবরের আমলে কর আদায়ের প্রক্রিয়া অধিকতর সুব্যবস্থাপনায় আনার জন্য এবং ফসল কাটার সময় অনুযায়ী কর নির্ধারণের জন্য এই সন প্রণয়ন করা হয়। ফসলি সনের প্রথম দিন হিসেবে বৈশাখ মাসের 1লা তারিখকে চিহ্নিত করা হয়, যা বর্তমানে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়।আবার কেউ কেউ মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নববর্ষের উৎসবগুলো হিন্দু বিক্রমী দিনপঞ্জির সাথে সম্পর্কিত। এই দিনপঞ্জির নামকরণ করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব 57 অব্দে বিক্রমাদিত্যের নাম অনুসারে।ভারতের গ্রামীণ বাঙ্গালি সম্প্রদায়ে ভারতের অনেক অঞ্চল ও নেপালের মত বিক্রমাদিত্যকে বাংলা দিনপঞ্জির আবির্ভাবের স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু সেই অঞ্চলগুলোর মত বাংলায় বঙ্গাব্দের সূচনা 57 খ্রিস্টপূর্বে হয়নি, বরং 593 খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়েছিল, যা নির্দেশ করছে বঙ্গাব্দের সূচনা প্রমাণ সময়কে কোন একসময় পরিবর্তিত করা হয়েছে।মনে করা হয় শশাঙ্কের শাসনামলেই এই পরিবর্তন হয়। যদিও বাংলা নববর্ষ পালনের রীতি মুঘল আমল থেকে বঙ্গের বুকে চালু হয়ে আসলেও, এটি সময়ের সাথে সাথে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে এবং এখন এটি বাংলা জাতির সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পালিত হয়। নববর্ষের এই উদযাপন বাঙালি জাতির জীবনে নতুন উদ্যম ও সংকল্পের জন্ম দেয়।বর্তমানে, বাংলা নববর্ষ নিয়ে বাঙালির উৎসবের রূপ অত্যন্ত বর্ণিল এবং এটি বিশ্বব্যাপী যেখানে যেখানে বাঙালি সম্প্রদায় রয়েছে, সেখানে সেখানে পালিত হয়।
---Notification View attachment 224972
:clapping:
 
Top