বড়ো বড়ো গাছের পাতার ফাঁক দিকে যে সামান্য সূর্যালোক আসছে তা এই অপূর্ব অরণ্যের শোভাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা তখন বেশ খানিকটা জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করেছি, অঙ্কন বলে উঠলো,
- লুকাস, ভাই আর পারছিনা পায়ে হেবী ব্যাথা করছে, একটু রেস্ট নেওয়া যায়না?
লুকাস বললো - okay, let's take some rest!
ঘন জঙ্গলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত একটু ফাঁকা একটা জায়গায় আমরা বসলাম। জায়গাটা ফাঁকা হলেও যথেষ্ট ঝোপঝাড়ে ভরা ছিলো তবে লুকাস সেগুলোকে একটা দা দিয়ে কেটেকুটে জায়গাটা বেশখানিকটা আশ্রয়যোগ্য করে দিলো। তখন প্রায় বিকেল হয়ে এসেছে। আমরা ভেতো বাঙালি, দিন তিন বেলা ভাত খাবার অভ্যেস, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশ ভালো মতোই হাঁক ডাক চলছে পেটের মধ্যে। লুকাস কে বললাম,
- আচ্ছা আজ রাতটা এখানে কাটালে কেমন হয়? যা জঙ্গল দেখলাম তাতে এরম জায়গা রাত কাটানোর জন্য আর কি পাওয়া যাবে?
- হুম, good idea but...
- but?
- particular এই প্লেসটায় বড্ডো mosquito আর honeybee এর উপদ্রব। আর এ মশা তোমাদের কলকাতার মশা নয় বুঝলে ইয়ং ম্যান। একটা মশার সাইজ minimum এই..এ....এতটা।
তর্জনীর মাথা থেকে এক করের সমান সাইজের মশার ইঙ্গিত দিলো লুকাস। বাপরে, এ মশা নাকি বাচ্চা হাতি। কিন্তু তাও অঙ্কন বললো,
- ও হোক গে মশা আমার কাছে রেপালেন্ট আছে। আর চলতে পারছিনা ভাই।
শেষপর্যন্ত সেখানে রাত্রিযাপনই স্থির হলো। অঙ্কনের অবস্থা দেখে লুকাসের সেই বাঁকা হাসি আমার মোটেই ভালো লাগলো না। আমরা শহরের ছেলে, এটাই হওয়া স্বাভাবিক, এতে হাসির কি আছে। যাই হোক, কাছ থেকেই কিছু শুকনো ডালপালা জোগাড় করে এনে রাখা হলো। সন্ধ্যে নামতেই সেই ডালপালা সাজিয়ে তাতে আগুন জ্বালানো হলো। মানবসভ্যতার থেকে বহু দূরে এই নির্জন অন্ধকারময় পরিবেশে আগুন জ্বালিয়ে আত্মরক্ষার এই প্রক্রিয়া আমায় এক লহমায় সেই আদিম যুগের কথা মনে করিয়ে দিলো। আজকের দিনের মানুষের এত অগ্রগতি এত উন্নতি হঠাৎ করেই অপ্রয়োজনীয় আর অবাঞ্ছিত মনে হতে লাগলো। এই জঙ্গলের সেই আদিম জনগোষ্ঠীর কথা মনে পড়ে গেলো আমার। তারাও তো এভাবেই বেঁচে আছে। প্রকৃতির অদ্ভুত আচরণের কথা চিন্তা করেই আরো বিস্মিত আর অভিভূত হয়ে গেলাম। এরা প্রকৃতিতেই তো বসবাস করে, আর প্রকৃতির যত্ন নেয় প্রকৃতিকে ভালোবাসে, তাই প্রকৃতিও যেনো এদের ভালোবেসে আগলে রাখে। এরা তো এই ভয়ঙ্কর জঙ্গলের মধ্যে বিপদের মাঝে বিলুপ্ত হয়ে যেতেই পারতো, কিন্তু হয়নি। কি অদ্ভুত সম্পর্ক এদের সাথে প্রকৃতির। কিন্তু অন্যদিকে এই সভ্য সমাজ যেমন প্রকৃতিকে নিয়ে যথেচ্ছাচার করছে, প্রকৃতির ক্ষতি করছে, প্রকৃতিও তেমন করেই সভ্য সমাজকে নিশ্চিহ্ন করছে ক্রমেই পৃথিবীর বুক থেকে বন্যা, ভূমিকম্প, উল্কাপাত, ঝড়বৃষ্টি আরো বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি করে।
- সেই ডায়রির বর্ণনা অনুযায়ীই আমরা এখানে এসেছি গুপ্তধন খুঁজতে।
শেষ দুটো কথা কানে যেতেই চমক ভাঙলো আমার। অন্ধকার জঙ্গলে আগুন জ্বেলে একটা কাঠের গুঁড়ির ওপর বসেছিলাম আমরা। পিছনে তাঁবু খাটানো। রাত্তিরটা সেখানেই কাটাবো। আমাদের এখানে আসার আসল কারণটা বলতেই হতো লুকাসকে তবে আমি চেয়েছিলাম সেটা কিছুদিন পরে বলতে কিন্তু অঙ্কন সেটা সদ্য পরিচিত তার এই বন্ধুকে ফস করে বলে দেওয়ায় ওর ওপর মারাত্মক রাগ হলো। ওকে ঠিক মতো না চিনে এসব কথা বলাটা কি ঠিক হবে সেসব ভেবেই আমি পড়ে বলবো স্থির করেছিলাম কিন্তু গাধাটা এখনই বলে দিলো। লুকাসের দিকে তাকাতে দেখলাম ওর চোখে মুখে অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। হাসতে হাসতে সে বললো,
- wow really? Are you talking about tuxuhamans tribe??
- কী ট্রাইব? চু....চুকু
বলতে গিয়ে কথা আটকে গেলো আমার।
- চুকুহামন্স ট্রাইব। According to his information, I think that tribe mentioned in that diary is tuxuhamans tribe। But সেখানে যাবার অনুমতি ব্রাজিল সরকার দেয়না so I can't lead you towards there।
- কিন্তু যদি সত্যিই গুপ্তধন থেকে থাকে আর আমরা যদি তা উদ্ধার করতে পারি আর সেটার একটা অংশ তোমাকে দি তাহলেও পারবে না??
লুকাসের চোখ মুহূর্তেই উজ্জ্বল হয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো।
- কিন্তু তোমাদের কোনো বিপদ হলে আমি ট্রাবলে পড়বো because your safety is my responsibility।
- but there is no gain without risk লুকাস, so think about it, please।
কেবলমাত্র ঝিঁঝির ডাক আর বন্য জন্তুজানোয়ারের ডাক ছাড়া কোনো কথা শোনা গেলো না। সাময়িক নিরবতা ভাঙলো লুকাসই।
- ওকে as your wish but again I'm giving the warning that it would be a dangerous step।
- আমরা কলকাতার ছেলে লুকাস বিপদকে আমরা ডরাই না।
( পরবর্তী অংশ পরের পর্বে.....)
- লুকাস, ভাই আর পারছিনা পায়ে হেবী ব্যাথা করছে, একটু রেস্ট নেওয়া যায়না?
লুকাস বললো - okay, let's take some rest!
ঘন জঙ্গলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত একটু ফাঁকা একটা জায়গায় আমরা বসলাম। জায়গাটা ফাঁকা হলেও যথেষ্ট ঝোপঝাড়ে ভরা ছিলো তবে লুকাস সেগুলোকে একটা দা দিয়ে কেটেকুটে জায়গাটা বেশখানিকটা আশ্রয়যোগ্য করে দিলো। তখন প্রায় বিকেল হয়ে এসেছে। আমরা ভেতো বাঙালি, দিন তিন বেলা ভাত খাবার অভ্যেস, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশ ভালো মতোই হাঁক ডাক চলছে পেটের মধ্যে। লুকাস কে বললাম,
- আচ্ছা আজ রাতটা এখানে কাটালে কেমন হয়? যা জঙ্গল দেখলাম তাতে এরম জায়গা রাত কাটানোর জন্য আর কি পাওয়া যাবে?
- হুম, good idea but...
- but?
- particular এই প্লেসটায় বড্ডো mosquito আর honeybee এর উপদ্রব। আর এ মশা তোমাদের কলকাতার মশা নয় বুঝলে ইয়ং ম্যান। একটা মশার সাইজ minimum এই..এ....এতটা।
তর্জনীর মাথা থেকে এক করের সমান সাইজের মশার ইঙ্গিত দিলো লুকাস। বাপরে, এ মশা নাকি বাচ্চা হাতি। কিন্তু তাও অঙ্কন বললো,
- ও হোক গে মশা আমার কাছে রেপালেন্ট আছে। আর চলতে পারছিনা ভাই।
শেষপর্যন্ত সেখানে রাত্রিযাপনই স্থির হলো। অঙ্কনের অবস্থা দেখে লুকাসের সেই বাঁকা হাসি আমার মোটেই ভালো লাগলো না। আমরা শহরের ছেলে, এটাই হওয়া স্বাভাবিক, এতে হাসির কি আছে। যাই হোক, কাছ থেকেই কিছু শুকনো ডালপালা জোগাড় করে এনে রাখা হলো। সন্ধ্যে নামতেই সেই ডালপালা সাজিয়ে তাতে আগুন জ্বালানো হলো। মানবসভ্যতার থেকে বহু দূরে এই নির্জন অন্ধকারময় পরিবেশে আগুন জ্বালিয়ে আত্মরক্ষার এই প্রক্রিয়া আমায় এক লহমায় সেই আদিম যুগের কথা মনে করিয়ে দিলো। আজকের দিনের মানুষের এত অগ্রগতি এত উন্নতি হঠাৎ করেই অপ্রয়োজনীয় আর অবাঞ্ছিত মনে হতে লাগলো। এই জঙ্গলের সেই আদিম জনগোষ্ঠীর কথা মনে পড়ে গেলো আমার। তারাও তো এভাবেই বেঁচে আছে। প্রকৃতির অদ্ভুত আচরণের কথা চিন্তা করেই আরো বিস্মিত আর অভিভূত হয়ে গেলাম। এরা প্রকৃতিতেই তো বসবাস করে, আর প্রকৃতির যত্ন নেয় প্রকৃতিকে ভালোবাসে, তাই প্রকৃতিও যেনো এদের ভালোবেসে আগলে রাখে। এরা তো এই ভয়ঙ্কর জঙ্গলের মধ্যে বিপদের মাঝে বিলুপ্ত হয়ে যেতেই পারতো, কিন্তু হয়নি। কি অদ্ভুত সম্পর্ক এদের সাথে প্রকৃতির। কিন্তু অন্যদিকে এই সভ্য সমাজ যেমন প্রকৃতিকে নিয়ে যথেচ্ছাচার করছে, প্রকৃতির ক্ষতি করছে, প্রকৃতিও তেমন করেই সভ্য সমাজকে নিশ্চিহ্ন করছে ক্রমেই পৃথিবীর বুক থেকে বন্যা, ভূমিকম্প, উল্কাপাত, ঝড়বৃষ্টি আরো বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি করে।
- সেই ডায়রির বর্ণনা অনুযায়ীই আমরা এখানে এসেছি গুপ্তধন খুঁজতে।
শেষ দুটো কথা কানে যেতেই চমক ভাঙলো আমার। অন্ধকার জঙ্গলে আগুন জ্বেলে একটা কাঠের গুঁড়ির ওপর বসেছিলাম আমরা। পিছনে তাঁবু খাটানো। রাত্তিরটা সেখানেই কাটাবো। আমাদের এখানে আসার আসল কারণটা বলতেই হতো লুকাসকে তবে আমি চেয়েছিলাম সেটা কিছুদিন পরে বলতে কিন্তু অঙ্কন সেটা সদ্য পরিচিত তার এই বন্ধুকে ফস করে বলে দেওয়ায় ওর ওপর মারাত্মক রাগ হলো। ওকে ঠিক মতো না চিনে এসব কথা বলাটা কি ঠিক হবে সেসব ভেবেই আমি পড়ে বলবো স্থির করেছিলাম কিন্তু গাধাটা এখনই বলে দিলো। লুকাসের দিকে তাকাতে দেখলাম ওর চোখে মুখে অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। হাসতে হাসতে সে বললো,
- wow really? Are you talking about tuxuhamans tribe??
- কী ট্রাইব? চু....চুকু
বলতে গিয়ে কথা আটকে গেলো আমার।
- চুকুহামন্স ট্রাইব। According to his information, I think that tribe mentioned in that diary is tuxuhamans tribe। But সেখানে যাবার অনুমতি ব্রাজিল সরকার দেয়না so I can't lead you towards there।
- কিন্তু যদি সত্যিই গুপ্তধন থেকে থাকে আর আমরা যদি তা উদ্ধার করতে পারি আর সেটার একটা অংশ তোমাকে দি তাহলেও পারবে না??
লুকাসের চোখ মুহূর্তেই উজ্জ্বল হয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো।
- কিন্তু তোমাদের কোনো বিপদ হলে আমি ট্রাবলে পড়বো because your safety is my responsibility।
- but there is no gain without risk লুকাস, so think about it, please।
কেবলমাত্র ঝিঁঝির ডাক আর বন্য জন্তুজানোয়ারের ডাক ছাড়া কোনো কথা শোনা গেলো না। সাময়িক নিরবতা ভাঙলো লুকাসই।
- ওকে as your wish but again I'm giving the warning that it would be a dangerous step।
- আমরা কলকাতার ছেলে লুকাস বিপদকে আমরা ডরাই না।
( পরবর্তী অংশ পরের পর্বে.....)