-আর কতটা হাঁটতে হবে বাবা ?
-এই তো বড় রাস্তাটা পেইরেই ট্রেন ধরবো।
-তালে আমরা কখন বাড়ি পৌঁছব?সন্ধ্যে হয়ে যাবে ?
-না না ! বিকেলের মধ্যেই চলি যাবো।কেনো তোর বুঝি বাড়ির জন্যে মার জন্যে মন কেমন করসে ?
-না না ! খুব মজা হচ্ছে ! মারে গিয়ে শাড়িটা দেবো..কত্ত খুশী হয়ে যাবে বলো বাবা !
-হাহাহাহ...তা তো হবেই ! তোর মায়ের এমন একখান শাড়ির কত দিনের ইচ্ছে ছিলো।
-তাড়াতাড়ি চলো বাবা! তাড়াতাড়ি।
-পাগল ছেলে আমার..হ্যাঁরে এই পেরথম বার তোরে কলকাতায় নিয়ে এলুম,কাঁসর বাজাবি বলে,তোর ভাল লেগেছে ?
-হ্যাঁ ভাল লাগবেনে..কত্ত পুজো,কত্ত মানুষ কত্ত আলো কত্ত কিছু..আমাদের গ্রামে এত্ত কিছু কইইই..।
-মা ও মা মাআআআআ...
-চলে এসেছিস বাবা ?
-হ্যাঁ মা ! কত্ত ঠাকুর গো মা বড় বড়..সামনের বছর আমরা তিন জন মিলে যাবো কেমন ?
-হ্যাঁরে তোর হাত ব্যথা হয়নি তো ? বাজাতে পেরেছিলি?
-হ্যাঁ মা ! পেরেছি তো ! কতজন তো আমায় খুশী হয়ে দশটাকা করে দিয়েছে..
আচ্ছা এবার তুমি চোখ বন্ধ করো মা..
-চোখ বন্ধ ? কেনো রে বাবু ?
-উফ্ করো না !
-আচ্ছা নে দিকিনি..ঝটপট নে! মেলা কাজ পরে আছে আমার!
-চোখ খোলো মা...
-ওমা এত ভাল শাড়ি ?? কোথায় পেলি ?এত অনেক দাম রে !
-ভাল হয়েছে না মা বলো ?বাবা বলো না মাকে !
-তোমার ছেলে ওঁর বায়নার সব টাকা দিয়েই তোমার জন্যে শাড়িটা কিনে এনেছে উমা।
-তুই কেন এমন পাকামো করলি বাবু ? এত ছোট তুই..
-তাতে কী মা ?সব্বাইয়ের মায়েরা কত ভাল ভাল শাড়ি পরেছে, দুর্গা মাও পরেছে..আর আমার মা পরবেনি ?
-আচ্ছা নেয়ে আসি ! তারপর পরব কেমন ?
আট বছরের ছোট্ট ছেলেটির,শহরের বড় একটি পুজো মণ্ডপে বাবার সাথে কাঁসর বাজিয়ে ফেরার পথে রাস্তার ধারের দোকান থেকে নেওয়া ঢাকাই জামদানি শাড়িটা তার মাকে স্নান সেরে পরে আসতে দেখে মনে মনে মা দুর্গাকে বললো...
"তোমার মতোন সোনার শাড়ি আমার মাও পরেছে গো দুগ্গা মা, একদম তোমার মতোন লাগছে আজ মাকে.......একদম তুমি..।."
আসছে বছর আবার হবেএএএ.......।. পড়ন্ত বিকেলে কাশ বনের মধ্যিখান দিয়ে ছুটে যাচ্ছে এমন সহস্র সোনার শাড়ি.........সহস্র উমারা......যাঁদের জামদানির জরি গুলো সোনার মতোন চিকচিক করছে...!!!
বি দ্রঃ - পোস্টটি সংগৃহীত
-এই তো বড় রাস্তাটা পেইরেই ট্রেন ধরবো।
-তালে আমরা কখন বাড়ি পৌঁছব?সন্ধ্যে হয়ে যাবে ?
-না না ! বিকেলের মধ্যেই চলি যাবো।কেনো তোর বুঝি বাড়ির জন্যে মার জন্যে মন কেমন করসে ?
-না না ! খুব মজা হচ্ছে ! মারে গিয়ে শাড়িটা দেবো..কত্ত খুশী হয়ে যাবে বলো বাবা !
-হাহাহাহ...তা তো হবেই ! তোর মায়ের এমন একখান শাড়ির কত দিনের ইচ্ছে ছিলো।
-তাড়াতাড়ি চলো বাবা! তাড়াতাড়ি।
-পাগল ছেলে আমার..হ্যাঁরে এই পেরথম বার তোরে কলকাতায় নিয়ে এলুম,কাঁসর বাজাবি বলে,তোর ভাল লেগেছে ?
-হ্যাঁ ভাল লাগবেনে..কত্ত পুজো,কত্ত মানুষ কত্ত আলো কত্ত কিছু..আমাদের গ্রামে এত্ত কিছু কইইই..।
-মা ও মা মাআআআআ...
-চলে এসেছিস বাবা ?
-হ্যাঁ মা ! কত্ত ঠাকুর গো মা বড় বড়..সামনের বছর আমরা তিন জন মিলে যাবো কেমন ?
-হ্যাঁরে তোর হাত ব্যথা হয়নি তো ? বাজাতে পেরেছিলি?
-হ্যাঁ মা ! পেরেছি তো ! কতজন তো আমায় খুশী হয়ে দশটাকা করে দিয়েছে..
আচ্ছা এবার তুমি চোখ বন্ধ করো মা..
-চোখ বন্ধ ? কেনো রে বাবু ?
-উফ্ করো না !
-আচ্ছা নে দিকিনি..ঝটপট নে! মেলা কাজ পরে আছে আমার!
-চোখ খোলো মা...
-ওমা এত ভাল শাড়ি ?? কোথায় পেলি ?এত অনেক দাম রে !
-ভাল হয়েছে না মা বলো ?বাবা বলো না মাকে !
-তোমার ছেলে ওঁর বায়নার সব টাকা দিয়েই তোমার জন্যে শাড়িটা কিনে এনেছে উমা।
-তুই কেন এমন পাকামো করলি বাবু ? এত ছোট তুই..
-তাতে কী মা ?সব্বাইয়ের মায়েরা কত ভাল ভাল শাড়ি পরেছে, দুর্গা মাও পরেছে..আর আমার মা পরবেনি ?
-আচ্ছা নেয়ে আসি ! তারপর পরব কেমন ?
আট বছরের ছোট্ট ছেলেটির,শহরের বড় একটি পুজো মণ্ডপে বাবার সাথে কাঁসর বাজিয়ে ফেরার পথে রাস্তার ধারের দোকান থেকে নেওয়া ঢাকাই জামদানি শাড়িটা তার মাকে স্নান সেরে পরে আসতে দেখে মনে মনে মা দুর্গাকে বললো...
"তোমার মতোন সোনার শাড়ি আমার মাও পরেছে গো দুগ্গা মা, একদম তোমার মতোন লাগছে আজ মাকে.......একদম তুমি..।."
আসছে বছর আবার হবেএএএ.......।. পড়ন্ত বিকেলে কাশ বনের মধ্যিখান দিয়ে ছুটে যাচ্ছে এমন সহস্র সোনার শাড়ি.........সহস্র উমারা......যাঁদের জামদানির জরি গুলো সোনার মতোন চিকচিক করছে...!!!
বি দ্রঃ - পোস্টটি সংগৃহীত